অবশেষে মোদি-ইমরান সরাসরি দেখা
অবশেষে চিরবৈরি ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি সাক্ষাৎ হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সম্মেলনের সাইড লাইনে তাদের এই সাক্ষাৎ হয়।
এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
ইন্ডিয়া টুডে ও এনডিটিভি’র খবরে বলা হয়েছে, দু’দেশের শীর্ষনেতাদের এই শুভেচ্ছা বিনিময়ের খবর প্রথম দিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি।
ইসলামাবাদ ছাড়ার আগে পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, দুই নেতা ‘শুভেচ্ছা বিনিময় ও করমর্দন করেন’। এটি কোনো কাঠামোগত সংলাপ ছিল না।
ভারতের পক্ষেও এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে দাবি করা হয়, সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের মঞ্চে নরেন্দ্র মোদি ও ইমরান খানের দেখা হয় এবং তারা ‘শুভেচ্ছা’ বিনিময় করেন।
মোদি ও ইমরান খানের মধ্যে এমন সময়ে এই শুভেচ্ছা বিনিময় হলো, যখন ভারত ‘আলোচনা ও সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না’ নীতি মেনে আসছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাতে পাকিস্তানের ডন অনলাইন খবর দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার কাউন্টারপার্ট ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সম্মেলনের সাইডলাইনে করমর্দন এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেন, দু’নেতার এই বৈঠক ‘সৌজন্যতা’। নির্ধারিত কোনো বৈঠক বলা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কারও হিংসা করার প্রয়োজন নেই। পাকিস্তান সব সময় বাস্তববাদী এবং ভাল চিন্তার পক্ষে।’
তবে সূত্র ইন্ডিয়া টুডেকে দুই নেতার মধ্যে কোনো ধরনের বৈঠকের খবর শক্তভাবে নাকচ করে দিয়েছে।
পরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ব্যাখ্যাও দিয়েছে, ‘সেখানে কোনো বৈঠক হয়নি। কোনো পক্ষীয়ই না। শুধুমাত্র দু’নেতার মধ্যে প্রথাগত সৌজন্য বিনিময় হয়েছে। এ সময় সেখানে সম্মেলনে আসা অন্যান্য দেশের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।’
এই ঘটনাকে অতিরঞ্জিত না করার জন্যও অনুরোধ করেছে ভারত।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম খবর দিয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি এটাও জানিয়েছেন, দেখা হওয়ার পর ইমরান খান লোকসভা নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অভিনন্দন জানান।
বছর দুয়েক আগেও ভারত ও পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্কের সমীকরণ ভিন্ন ছিল। ২০১৭ সালের জুনে তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের সঙ্গে এসসিও সম্মেলন মঞ্চে দেখা হয়েছিল নরেন্দ্র মোদির। কুশল বিনিময় হয়েছিল দু’জনের মধ্যে। শরীফের সুস্বাস্থ্য কামনা করে পরিবারের খবরাখবরও নিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
কিন্তু, চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা, তারপর পাকিস্তান ভূখণ্ডে ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং পাকিস্তানের পাল্টা আক্রমণে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে। যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়, যা এখনও চলমান।
উল্লেখ্য, চীনের নেতৃত্বে আটটি আঞ্চলিক দেশের জোট সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)। মূলত বাণিজ্য ও নিরাপত্তাবিষয়ক এই জোটের এবারের দুই দিনব্যাপী বার্ষিক সম্মেলন হচ্ছে কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন