‘গরিবদের ব্যয়ের জায়গায় ভ্যাট বসানো হয়েছে’
সাধারণ গরিবদের খরচের জায়গায় ভ্যাট বসানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, সাধারণ গরিব, মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ যেসব জায়গায় তাদের টাকা খরচ করবে সেসব জায়গায় ভ্যাট বসানো হয়েছে।
তারা বলছে, ৭ শতাংশ কিন্তু মূলত যাচ্ছে ২১ শতাংশ এবং এটা দিচ্ছে সাধারণ মানুষ। যে লোকটি কম আয়ের কারণে করের আওতায় আসে না তাকেও এ ভ্যাট দিতে হচ্ছে। এটা অনেক বড় অন্যায়।
বুধবার (২৬ জুন) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং দলটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। জিয়া আদর্শ একাডেমী এই প্রতিবাদ সভা আয়োজন করে।
এ সময় গরিবের টাকা লুট করে বড়লোকদের মধ্যে বিতরণ চলছে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, রবিনহুড বড়লোকদের টাকা গরিবদের দিত। তবে বাংলাদেশে নতুন রূপ দেখা যাচ্ছে। একটা দেশের সম্পদের ওপর সব নাগরিকের অধিকার থাকে। সুশাসন থাকলে সেই সম্পদের বণ্টন অনেকটা গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে করা যায়। কিন্তু দেশে রবিনহুডের বিপরীত দিক দেখতে পাচ্ছি। গরিব, কর্মজীবীদের টাকা লুটপাট করে ধনীদের মধ্যে বিতরণের একটা প্রক্রিয়া দেখছি। বড়লোক মানে তারা আবার দলীয় বড়লোক হতে হবে, এমনে বড়লোক হলে চলবে না।
একদিকে ব্যাংক লুট হচ্ছে, অন্যদিকে জনগণের করের টাকায় সেটা কাভার করা হচ্ছে দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, দিন শেষে অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, দেশের টাকায় কুলাচ্ছে না এখন ঋণ করতে হচ্ছে। সব জায়গায় ঋণ করতে করতে এমন অবস্থা এখন ব্যাংকে টাকাই নেই। এই যে একটি অর্থনৈতিক কাঠামো দেশে সৃষ্টি করেছে যে সাধারণ মানুষের অর্থ লুটপাট করে, তাদের কিছু সীমিত দলীয় ব্যবসায়ী মিলে একটি চক্র সৃষ্টি হয়েছে। এটা হচ্ছে আজকে দেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এখান থেকে বের হতে হলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য নির্বাচনে গিয়েছিলাম। কিন্তু মধ্যরাতের ভোট ডাকাতির মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে ক্ষমতা দখল করা হয়েছে। এ বিপর্যয় দেশের মানুষের গণতন্ত্রের বিপর্যয়, বিএনপির নয়। নেতাকর্মীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিন্তু গণতন্ত্রের স্বার্থে বিএনপি সংসদেও গেছে। গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে এ মুহূর্তে খালেদা জিয়ার মুক্তি অপরিহার্য।
প্রতিবাদ সভায় আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আজম খানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, তথ্য বিষয়ক সহ সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সদস্য কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, এম জাহাঙ্গীর আলম, জাতীয়তাবাদী চালক দলের সভাপতি জসিম উদ্দিন কবির প্রমুখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন