শিক্ষিকাকে পেটালেন আরেক শিক্ষিকার স্বামী
কম বেশি সব স্কুলেই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ শোনা যায়। কিন্তু তাই বলে স্কুল গেটে শিক্ষকার স্বামী এসে আরেক শিক্ষিকাকে পিটিয়েছেন এরকম অরাজকতার কথা আগে কখনও শোনা যায়নি।
বুধবার দুপুরে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের রায়গঞ্জের বরুয়া পঞ্চায়েতের সিজগ্রাম নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
জানা যায়, ওই স্কুলে একজন প্রধানশিক্ষক, দু’জন শিক্ষক ও তিনজন শিক্ষিকা। শিক্ষক ও অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেদেরি করে স্কুলে হাজির হচ্ছিলেন শিক্ষিকা মালা রবিদাস। এ নিয়ে অন্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে মালার বাক বিতণ্ডা চলছিলো।
বুধবার সেই গন্ডগোলে জড়ালেন অভিযুক্ত শিক্ষিকার স্বামী সুজয় ভদ্রও। সুজনও একজন স্কুলশিক্ষক, তিনি রায়পুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
ঘটনার দিন সুজয় স্ত্রী মালাকে মোটরবাইকে চাপিয়ে স্কুলে পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন। সেই সময় স্কুল গেটে তাদের ওই স্কুলের আরেক শিক্ষিকা রেখা রায় অধিকারীর সঙ্গে দেখা হয়। দুই শিক্ষিকা মালা ও রেখার মধ্যে আগে থেকেই ঝগড়া চলছিলো। তো স্ত্রী মালার পক্ষ নিয়ে সুজনও রেখার সঙ্গে ঝগড়া শুরু করেন। এক পর্যায়ে তিনি ওই শিক্ষিকাকে মারধর করেন।
এ দেখে অভিভাবকদের একাংশ সুজয়কে পাল্টা মারধর করেন বলে অভিযোগ। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে অভিভাবকদের মারে জখম হন মালা নিজেও। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তিনি শিক্ষক সুজয়, মালা ও রেখা।
পরে পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিভাববকদের হাত থেকে মালা ও সুজয়কে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
তবে মালার অভিযোগ, ওইদিন রেখাই তার স্বামীকে মারধর করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ দিন ধরে ওই স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের একাংশ বেলা বেলা দেড়টার সময়ে বিভিন্ন ক্লাস বাতিল করে স্কুল থেকে চলে যাচ্ছেন।
প্রথম থেকে আমি এর প্রতিবাদ করায় সোমবার রেখা ও স্কুলের প্রধানশিক্ষক আমাকে মারধর করেন। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানোয় এ দিন রেখা আমার স্বামীকে মারধর করেন।’
অন্যদিকে রেখার দাবি, ‘মালা দীর্ঘ দিন ধরে দেরি করে স্কুলে হাজির হচ্ছেন। সুষ্ঠু পঠনপাঠনের স্বার্থে স্কুলের শিক্ষকেরা ওই ঘটনার প্রতিবাদ করায় তিনি তার স্বামীকে স্কুলে এনে আমার উপর হামলা চালান।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন