শাহীনকে কোপানোর মূলহোতাসহ গ্রেফতার ৩

ঘটনা সম্পর্কে প্রেস বিফ্রিংয়ে নাইমুলের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ২৭ জুন নাইমুলসহ অজ্ঞাত ৩ জন গোপন মিটিং করে কিশোর ভ্যানচালক শাহীনকে ফোন করে বলে, কাল কলারোয়ায় একটি ভাড়া আছে। তুই সকালে কেশবপুর বাজারে চলে আসিস। এসময় তারা ৩৫০ টাকা ভাড়া চুক্তি করে। পরদিন সকালে শাহীন ভ্যান নিয়ে কেশবপুর বাজারে গিয়ে দেখে নাইমুলসহ ৩ জন দাঁড়িয়ে আছে। সেখান থেকে তারা ভ্যানে উঠে কেশবপুর হাসপাতালের সামনে দিয়ে সরসকাটি চৌগাছা হয়ে ধানদিয়া জামতলা মোড়ে পাশে ফাঁকা জায়গায় পৌঁছে শাহীনকে ভ্যান থামাতে বলে।

এ সময় তারা শাহীনকে বলে ভ্যান দিয়ে বাড়ি চলে যা, বাড়ি গিয়ে এ সম্পর্কে কিছু বললে তোকে মেরে ফেলবো। শাহীন ভ্যান দিতে রাজি না হওয়ায় তারা ভ্যানের সিটের লোহার সাথে শাহীনের মাথায় আঘাত করে শাহীনকে অচেতন অবস্থায় পাটক্ষেতে ফেলে রেখে যায়। পরে তারা ঝাউডাঙ্গা বাজারে গিয়ে বারেক আলীর কাছে ভ্যানের ব্যাটারি চারটি ও কলারোয়ার রায়ার মির্জাপুর মোড়ের আরশাদ পাড় ওরফে নুনু মিস্ত্রির কাছে ভ্যানটি বিক্রি করে টাকা সমান ভাগ করে নেয়।

প্রেসব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) ইলতুৎমিশ, বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান, পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম প্রমুখ।

তিনি আরো জানান, এই অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুৎমিশ।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ জুন শুক্রবার জীবিকা নির্বাহের তাগিদে যশোরের কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের হায়দার আলী মোড়লের ছেলে কিশোর শাহীন ভ্যান চালাতে বের হয়। এ সময় তার ভ্যানে কয়েকজন যাত্রীবেশী ছিনতাইকারী ওঠে। তাদের নিয়ে কলারোয়ায় যাওয়ার পথে ধানদিয়া গ্রামে পৌঁছলে যাত্রীবেশী দুর্বৃত্তরা তার মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত জখম ও অচেতন করে ফেলে রেখে ভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যায়। বর্তমানে মুমূর্ষু অবস্থায় সে ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।