বিশ্বকাপ শেষে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ে যা জানালেন মাশরাফি
ক্রিকেটকে কবে বিদায় জানাচ্ছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা তা নিয়ে গুঞ্জন চলছিল চরমমাত্রায়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ দলনায়কের তীব্র কটাক্ষ করেছেন অনেককে।
অনেকেই আবার চান মাশরাফি অধিনায়ক হিসেবেই দলে থাকুক। খেলার সঙ্গে আবেগ মিশিয়ে তারা বলছেন, পারফরম্যান্স দিয়ে নয় মাঠে ‘তুই পারবি’ বলা মাশরাফি থাকলেই দল ভালো খেলবে।
তবে মাশরাফি তার আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার আরও দীর্ঘায়িত করবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও বিশ্বকাপ পর্ব যে তার শেষ তা সবারই জানা।
গত এক সপ্তাহ ধরে টাইগার অধিনায়কের অবসর নিয়ে গুঞ্জনটা ডাল পালা মেলে বট বৃক্ষ হওয়ার আগেই তা ছেটে দিলেন মাশরাফি নিজেই।
মাশরাফি জানালেন, লর্ডসে নয় দেশে ফিরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দেবেন তিনি। তবে সেটা কবে হবে তা স্পষ্ট করে জানাননি।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেও একই প্রশ্ন উঠল একটু ভিন্নভাবে। তাকে প্রশ্ন করা হলো, বিশ্বকাপ তো শেষ। এখন আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
সহজ ভাষায় বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়কের উত্তর, ‘আপাতত পরিকল্পনা বাড়ি যাওয়া। শনিবার রাতেই দেশের উদ্দেশে লন্ডন ছাড়ছি আমরা।’
একই জবাব দিয়েছেন পুরস্কার বিতরণী মঞ্চেও। সেখানে মাশরাফি বলেন, ‘আমি এখন বাড়ি যাব। সেখানে গিয়ে আমার ক্যারিয়ার নিয়ে নতুন করে ভাবব। এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’
যাই হোক আপাতত বিশ্রামই তার পরিকল্পনা, এমনটাই বোঝালেন এই নড়াইল এক্সপ্রেস।
যদি পাকিস্তানের বিপক্ষের শুক্রবারের ম্যাচই মাশরাফির শেষ আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট ম্যাচ হয় তবে ১৬ বছরের ক্রিকেট জীবনের ইতি টানবেন মাশরাফি।
যদিও গত ২৭ জুন ইএসপিএনক্রিকইনফোকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মাশরাফি বলেছিলেন, তার অবসরের সিদ্ধান্তটা বোর্ডের ইশারার দিকেই ঝুলে আছে।
তিনি বলেছিলেন, ‘এখনই খেলা ছাড়ছি না। আমি আরও খেলব। বোর্ড থেকে কোনো নির্দেশনা এলে আলাদা কথা। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার আপাতত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার চিন্তা নেই।’
সে সময় বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বকাপের পর মাশরাফি খেলা চালিয়ে যেতে চাইলে বোর্ড তার ইচ্ছাকে সম্মান দেখাবে। কারণ মাশরাফির নেতৃত্বেই বাংলাদেশের ক্রিকেটের সাম্প্রতিক উত্থান। বাংলাদেশের ক্রিকেটে ‘মাশরাফি’ একটা আবেগেরও নাম। বিসিবির যদিও ধারণা, বিশ্বকাপের পর হয়তো মাশরাফি নিজেই অবসরের ঘোষণা দেবেন, তবে না দিলেও তারা সেটিতে আপত্তি করবে না।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল এই নড়াইল এক্সপ্রেসের। ডারবানে কানাডার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলেন তিনি। ২০১৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে লর্ডসে শেষ হলো তার বিশ্বকাপ ক্যারিয়ার।
এই ষোল বছরে চারটি বিশ্বকাপ খেলেছেন মাশরাফি। ঘরের মাঠে ইনজুরির কারণে ২০১১ বিশ্বকাপ খেলতে পারেননি। দেশের বাইরে ২০০৩, ২০০৭, ২০১৫ ও ২০১৯ এর বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন।
শেষ ম্যাচে হারের পর কোনো আক্ষেপ আছে কিনা এমন প্রশ্নের মাশরাফি বলেন, ‘কোনো আক্ষেপ নেই। আমিতো আগেই জানিয়ে এসেছি এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ।’
জানা গেছে, শনিবার লন্ডনের স্থানীয় সময় রাত সোয়া দশটার ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশে রওয়ানা দেবেন মাশরাফি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন