নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে উস্কানি দেন ফখরুল-খসরু-রিজভী
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে ধ্বংসাত্মক কাজে সম্পৃক্তের জন্য শিক্ষার্থীদের উস্কানি দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালতে একটি সিআর প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সেন্টু মিয়া।
প্রতিবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকীর করা সিআর মামলাটি সার্বিক তদন্তে, ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা ও দাখিল করা অডিও ভয়েস রেকর্ড এবং পত্রিকার কাটিং পার্যালোচনায় আসামিরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ঢাকা শহরে ব্যাপক নৈরাজ্য চালায়। তারা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধ্বংসাত্মক কাজে সম্পৃক্তের জন্য উস্কানি দেয়। যা পেনাল কোড ১৫৩/১০৯ ধারার অপরাধ, প্রাথমিকভাবে যা সত্য বলে প্রতিয়মান হয়। এ কারণে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন জানাচ্ছি।
সেইসঙ্গে নৈরাজ্য চালানোর অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালতে এ আবেদন করেন মামলার বাদীর আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ। আদালত বাদীর উপস্থিতিতে এ বিষয়ে শুনানির জন্য ২২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
এ বিষয় আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বলেন, মির্জা ফখরুলসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আসায় আমরা তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছি। মামলার বাদী অসুস্থজনিত কারণে আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
মামলার বাদী এ বি সিদ্দিকী বলেন, আজ শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে আদালতে উপস্থিত হতে পারি নাই। পরবর্তী ধার্য তারিখে আদালতে উপস্থিত থাকব। আশা করি, সেদিন তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হবে।
আইন অনুযায়ী সিআর মামলায় বাদীকে আদালতে উপস্থিত থাকতে হয়। তা না হলে মামলা খারিজ হয়ে যায়।
এটি মনে করিয়ে বিচারক আতিকুল ইসলাম বাদীর আইনজীবীকে বলেন, আপনি তো জানেন, সিআর মামলায় বাদীকে আদালতে উপস্থিত হতে হয়। বাদী তো আদালতে উপস্থিত হননি। আপনি তার পক্ষে কোনো আবেদনও দেননি। অথচ আপনি আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন।
আগে আপনি বাদী না আসার কারণ জানিয়ে আবেদন করেন, তারপর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদনের শুনানি করেন। আগে আপনি আপনার মামলা টিকান। তারপর গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন করেন’- বলেন আদালত।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন