চলে গেলেন দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত
দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেত্রী শীলা দীক্ষিত মারা গেছেন। শনিবার (২০ জুলাই) দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮১ বছর।
সম্প্রতি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল শীলা দীক্ষিতকে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক অশোক শেঠ সংবাদমাধ্যমকে জানান, আজ দুপুর ৩টা ৫৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
বর্তমানে দিল্লি কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন বর্ষীয়ান এই নেত্রী। দিল্লির সবচেয়ে বেশি সময়ের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তার নজির রয়েছে। ১৯৯৮, ২০০৩ এবং ২০০৮ সালে পরপর তিন বার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হন শীলা দীক্ষিত। এরপর ২০১৩ সালে নির্বাচনে আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরীবালের কাছে পরাজিত হন তিনি।
বর্ষীয়ান এই নেত্রীকে ২০১৪ সালে কেরালার গভর্নর করা হন। ওই বছরে মে-মাসে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে মোদী সরকার। আর আগস্টেই গভর্নর পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। ২০১৭ সালে উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস তাকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীও করে। পরবর্তীকালে সেই পদ থেকে তার নাম প্রত্যাহার করেন শীলা দীক্ষিত।
১৯৩৮ সালে জন্ম অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাবে। পড়াশোনা দিল্লির কনভেন্ট অব জেসাস অ্যান্ড ম্যারি স্কুলে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতক। তার মৃত্যুতে টুইটে শোকবার্তা জানান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
রাষ্ট্রপতি তাঁর শোকবার্তায় জানান, শীলা দীক্ষিতের সময় দিল্লি অভূতপূর্ব পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গেছে, যা চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপচারিতার একটি ছবি দিয়ে জানান, দিল্লির উন্নয়নে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোকবার্তায় জানান, উনি সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী থাকাকালীন একসঙ্গে কাজ করেছি। দারুণ সম্পর্ক ছিল তার সঙ্গে। ওনার অভাব অনুভব করবো।
রাহুল গাঁন্ধীও টুইটারে লেখেন, ‘কংগ্রেসের স্নেহভাজন কন্যা, ব্যক্তিগতভাবে যার ঘনিষ্ঠ ছিলাম, সেই শীলা দীক্ষিতজির প্রয়াণে বিধ্বস্ত আমি। তিন দফায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে গিয়েছেন। তার পরিবার এবং দিল্লিবাসীকে সমবেদনা জানাই।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন