চীনের বন্যার পানিও ঢুকতে পারে বাংলাদেশে
ভারতের পাশাপাশি চীনের বন্যার পানিও বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। আর সেক্ষেত্রে দেশের চলমান বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ ও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
কুড়িগ্রামে বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও বেড়েছে দুর্ভোগ। উলিপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩২০ জন। এ পর্যন্ত ১১ শিশুসহ ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্ধ রয়েছে জামালপুর-শেরপুর যোগাযোগ।
জামালপুরের উজানে পানি কমলেও বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র ও ঝিনাই নদীর পানি। বন্যা কবলিত এলাকায় ৬০টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
গাইবান্ধায় পানির তোড়ে বাঁধ ভেঙে গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভাসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। ভেঙে গেছে রাস্তাঘাট ও ব্রিজ-কালভার্ট। এ পর্যন্ত বন্যার পানিতে ডুবে গাইবান্ধায় ৯ জন মারা গেছে।
শেরপুরে বিশুদ্ধ পানির সংকটে বাড়ছে ডায়রিয়া, আমাশয়, জ্বর, চুলকানিসহ পানিবাহিত রোগের প্রকোপ। শেরপুর জেলায় ৮ দিনে ১০ শিশুসহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। পানিবন্দি রয়েছে ২ লাখেরও বেশি মানুষ।বন্যার পানি
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের জন্য ৫৬টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করে কালিহাতীর গরিলাবাড়ী বাঁধ এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
ফরিদপুর জেলার ৩টি উপজেলার চরাঞ্চল ও পদ্মা নদীর নিকটবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন