কেন সেদিন মেয়েটি দশ তলায় গ্রিল ধরে ঝুলে ছিল? (ভিডিও)
রাজধানীর কাকরাইলের কর্ণফুলী গার্ডেন সিটির উল্টো দিকের ফুটপাতে ভিড় করেছেন পথচারীরা। তাদের বিস্ফারিত চোখ কর্ণফুলী গার্ডেন সিটির ঠিক পেছনের ভবনটির দিকে। ১৫ তলা ভবনের দশম তলার বারান্দার বাইরে ঝুলে আছে একটি মেয়ে। একটু-ওদিক হলেই নির্ঘাত মৃত্যু। ভবনটি থেকে সড়ক এত দূরে যে চিৎকার করে মেয়েটির উদ্দেশে বলা কোনো কথাই তার কানে যাচ্ছে না। বারান্দায় একটু পরপর এক নারী আসা–যাওয়া করছেন। একপর্যায়ে তিনি বারান্দা থেকে বের হওয়ার গ্রিলের তালা খুলে দেন। মেয়েটি ভিতরে ডুকে পড়েন।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. জহিরুল ইসলাম খাদিজার কাছে জানতে চাইলেন, কেন এমনটি করেছে। কিন্তু খাদিজা কোনো জবাব দিল না। বারবার প্রশ্ন করেও তার মুখ দিয়ে একটি শব্দও বের করা গেল না। পরে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো কেউ তাকে মারধর করে কিনা। সে মাথা নেড়ে জানাল, কেউ তাকে মারে না। কিন্তু জানা গেল না, কেন সে বারান্দার বাইরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝুলে ছিল।
এ ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম ফ্ল্যাটের বারান্দায় ঝুলে থাকা মেয়েটির বিষয়ে জানতে চাইলে লাভলী রহমান বললেন, খাদিজা ও হেলেনা তার দুই গৃহকর্মী। তার দাবি, দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয় এবং ঝগড়ার একপর্যায়ে খাদিজা বারান্দার বেষ্টনীর ফোকর গলে বাইরে ঝুলে থাকে। লাভলী সবার সামনেই খাদিজাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন।
সম্প্রতি একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে ফ্ল্যাটের মালিক এম হাবিবুর রহমানের উপস্থিতিতে পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে উঠে এসেছে সত্য ঘটনা। খাদিজার মতে, গ্রিল ভিতর দিয়ে মাথা বের ডুকাতে না পারায় ঝুলে ছিল। পরে ভুড়া বিষয়টি দেখে বাসার মালিক লাভনীকে জানান। পরে লাভনী বারান্দা থেকে বের হওয়ার গ্রিলের তালা খুলে ভিতরে নিয়ে আসেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন