কাগজ কুড়িয়ে সাড়ে ১২ লাখ টাকা জমা, অতঃপর তা দিয়ে নিজের মূর্তি বানালেন যিনি!
কথায় আছে, চেষ্টা করলে কোনও কিছুই অসম্ভব না। আর সেই প্রবাদবাক্যকে সঠিক প্রমাণ করলেন ভারতের তামিলনাড়ুর সালেমের আত্থানুরপাট্টি গ্রামের বাসিন্দা এক ব্যক্তি।
ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল নিজের মূর্তি বানাবেন। আর সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে খরচ করে ফেললেন ১১ লাখ রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। এটি ছিল তার সারাজীবনের জমানো পুঁজি। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।
জানা গেছে, আগে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন নালাথাম্বি নামের ওই ব্যক্তি। কিন্তু সেই কাজ ভাল না লাগায় ছেড়ে দেন। এমনকি গ্রামের বাড়ি থেকেও বেরিয়ে যান। এরপর কাগজকুড়ানোর কাজ শুরু করেন। পুরনো বোতল এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য জিনিস জোগাড় করে তা বিক্রি করতেন তিনি। দিনে আয় হত ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। সেখান থেকেই যাবতীয় খরচ চালিয়ে, বাকি টাকা সঞ্চয় করতেন।
যদিও রাজমিস্ত্রীর কাজ করার সময় থেকেই টাকা জমাতেন তিনি। দীর্ঘদিন কাজ করার পর দেখেন, তার কাছে ১১ লাখ রুপি জমেছে। পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক না থাকায়, ওই টাকায় নিজের পুরনো স্বপ্নপূরণের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।
যেমন ভাবা তেমন কাজ। ভাজাপিদ–বেলুড় রোডের পাশে ১০ লাখ রুপি ব্যয়ে জমি কেনেন। এরপর বাকি এক লাখ রুপি দিয়ে স্থানীয় এক স্থপতিকে দিয়ে নিজেরই একটি মূর্তি বানান সেখানে।
এই প্রসঙ্গে নালাথাম্বির বক্তব্য, “ছোটবয়স থেকেই ইচ্ছে ছিল বড় হয়ে অনেক নাম করব। নিজের একটি মূর্তি হবে। এবার আমার সেই স্বপ্ন সত্যি হল।”
আপাতত তার ইচ্ছে বড়সড় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সেটির উন্মোচন করা। খবরটি প্রকাশ্যে আসতে অনেকেই অবাক হয়েছেন। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন