সেলিম পুত্রের বাসা থেকে মদ, বিয়ার, ওয়াকিটকি ও অস্ত্র উদ্ধার

ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এরফান সেলিমের বাসা থেকে বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এছাড়া তার শয়নকক্ষ থেকে বিপুল পরিমাণ ওয়াকিটকি, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (২৬ অক্টোবর) র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এসব উদ্ধার করা হয়। অভিযান এখনও চলছে। র‌্যাব সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে, নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফের ওপর ‘হামলা’র অভিযোগে ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে রবিবার রাতে ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিমসহ চারজন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনকে অভিযুক্ত করে মামলাটি করেন লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ।

অভিযুক্ত অপর তিনজন হলেন- এবি সিদ্দিক দিপু (৪৫), মোহাম্মদ জাহিদ (৩৫) ও মো. মিজানুর রহমান (৩০)।

মামলার এজাহারে বলা হয়, লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ রবিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে নিলক্ষেত থেকে তাদের বাসা মোহাম্মদপুরে ফিরছিলেন। পথে ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো একটি গাড়ি পেছন থেকে তার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়।

এরপরই কয়েক ব্যক্তি গাড়ি থেকে বের হয়ে এসে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফকে ‘শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত’ এবং তার স্ত্রীকে ‘গালিগালাজ’ করেন। এক পর্যায়ে তারা নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে হুমকিও দেয়। একজন প্রত্যক্ষদর্শী মোবাইল ফোনে ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন, যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম আলী মিয়া জানান, ওই গাড়ির চালক মিজানুর রহমানকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সোমবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে এরফান সেলিমকে নিজেদের হেফাজতে নেয় র‌্যাব।

এদিকে হাজী সেলিমের গাড়িচালক মিজানুর রহমানকে এক দিনের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমানের আদালত এই আদেশ দেন।