ইরফান সেলিমের টর্চার সেলে মিলল হাড়!
রাজধানীর পুরান ঢাকার সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের পুত্র ইরফান সেলিমের টর্চার সেলে হাড় পাওয়া গেছে। অভিযানে অংশ নেয়া র্যাব কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান। তবে তা মানুষের হাড় কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এছাড়া চর্টার সেল থেকে দূরবীন, হকিস্টিক, লাঠি, রশি, ইয়াবা খাওয়ার কয়েলসহ নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে র্যাব।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় চকবাজারের ২৬ নম্বর দেবীদাস ঘাট লেনের বাড়িতে অভিযান শুরু করে র্যাব। অভিযান চালিয়ে সাংসদপুত্র মোহাম্মদ ইরফান সেলিমকে গ্রেফতার করে।
একই সঙ্গে বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে ওইসব দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম।
অভিযানে চকবাজারের মদিনা আশিক টাওয়ারের ১৬ তলায় ইরফান সেলিমের আরও একটি টর্চার সেলের সন্ধান পেয়েছে র্যাব।
ওই সেল থেকে ওয়্যারলেসের কন্ট্রোল ট্রান্সজেস্টার, বাইনাকুলার, হিট দেওয়ার ট্রান্সমিটার, ছুড়ি, একটি হকিস্টিক, বাঁধার রশি, চোখ বাঁধার গামছা, ইয়াবা খাওয়ার ফয়েল, ওয়াকিটকি, স্ক্রু ড্রাইভারের একটি বক্স ,স্যাভলন ও ভিডিও রেকর্ডার উদ্ধার করা হয়।
সরেজমিনের গিয়ে দেখা গেছে, চকবাজারের ২৬ নম্বর দেবীদাস ঘাট লেনের ওই বাড়ির চতুর্থ ও পঞ্চম তলাটি ডুপ্লেক্স সিস্টেমে নির্মাণ করা হয়েছে। ৪র্থ তলার উত্তর কর্নারের রুমটিতে বসবাস করতেন এমপি পুত্র ইরফান সেলিম।
তার রুমের তোশকের নিচে ম্যাগাজিন ভর্তি একটি বিদেশি পিস্তল পাওয়া গেছে। এছাড়া ৫ম তলায় পূর্ব পাশের কর্নারে ৫টি ওয়ারল্যাস ভিপিএস সিস্টেম (ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভার) ও ৪০টি ওয়াকিটকি সেট, একটি হ্যান্ডকাপ, একটি বন্দুক, বিদেশি মদের বোতল ও বিয়ার পাওয়া গেছে।
এসব সরঞ্জাম ও আগ্নেয়াস্ত্র ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য এখনো যে অবস্থায় ছিল, তেমনটি রেখে দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম।
র্যাব জানায়, আটক ইরফান মোহাম্মদ সেলিম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও নোয়াখালী -৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করীম চৌধুরীর মেয়ের জামাতা।
প্রসঙ্গত, রোববার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে ধানমণ্ডিতে কলাবাগান ক্রসিংয়ের কাছে ঢাকা -৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের গাড়ির সঙ্গে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ল্যফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানের মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছিল।
এরপরই গাড়ি থেকে ইরফান সেলিমসহ তার লোকজন নেমে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম নামের ওই কর্মকর্তাকে বেদম পিটিয়েছেন।
রাত সোয়া ১০ টার দিকে সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো গাড়ি ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তার মোটরসাইকেল ধানমণ্ডি থানায় জব্দ করা হয়। সোমবার সকাল ৮টায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ধানমণ্ডি থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন