শ্যামলী-মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে র্যাবের অভিযান
রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও শ্যামলী এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে অনিয়ম ও ভুয়া চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে একযোগে টাস্কফোর্স গঠন করে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
বুধবার রাত পৌনে ১০টায় মোহাম্মদপুর ও শ্যামলীর বাবর রোড থেকে শুরু হয় এই অভিযান। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মোহাম্মদপুর ও শ্যামলীর মক্কা-মদিনা হাসপাতাল, নূরজাহান জেনারেল হাসপাতাল, ক্রিসেন্ট হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালে ভুয়া চিকিৎসক ও অনিময়ের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। র্যাব-২ ও ডিজি হেলথ প্রতিনিধির সহযোগিতায় টাস্কফোর্স অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, নিটোর (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সাধারণ রোগীদের প্রভাবশালী দালালচক্র কর্তৃক চিকিৎসাসেবা গ্রহণে বাধা প্রদান, সরকারি কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি এবং রোগীদের হয়রানি করার অভিযোগের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের অভিযানে ইতোমধ্যে র্যাব-২ হাসপাতালগুলোতে বেশ কয়েকজন ভুয়া চিকিৎসককে আটক করেছে এবং বেশকিছু দালাল আটক করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু জানান, এই দালালচক্রটি বিভিন্নভাবে প্রভাব খাটিয়ে দীঘদিন ধরে সাধারণ রোগীদের জিম্মি করে বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে কম খরচে উন্নতমানের চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে পঙ্গু হাসপাতালসহ অন্যান্য সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যেত।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এসব প্রাইভেট হাসপাতালে নামসর্বস্ব এবং ভুয়া চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়। আজকের অভিযানে তার সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে এবং হাসপাতালগুলোতে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ছাড়াই বিভিন্ন ধরনের সংবেদনশীল ও জটিল অস্ত্রোপচার করা হয় এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগীরা উপযুক্ত সেবা পান না।
কিছু ক্ষেত্রে রোগীদের মারাত্মকভাবে জীবন-অঙ্গহানিসহ অর্থহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোগীদের মোটা অংকের বিল ধরিয়ে দেয়া হয়, বিপুল অঙ্কের বিল পরিশোধ না করতে পারলে রোগীদের রিলিজ দেয়া হয় না এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিল পরিশোধ না করতে পারলে আটকে রাখা হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন