বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিলেন দুই নারীসহ ৪৩ সাঁতারু
বঙ্গোপসাগরে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিলেন দুই নারীসহ ৪৩ সাঁতারু।
তাদের মধ্যে মধ্যে একজন বিদেশি ও ২ পুলিশ কর্মকর্তাও ছিলেন।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহ্ পরীর দ্বীপ জেটি থেকে শুরু করেছিল সাঁতারুরা। বঙ্গোপসাগরের বাংলা চ্যানেলের ১৬ কিলোমিটার পথ সাঁতরে সাঁতারুরা পৌঁছান সেন্ট মার্টিন দ্বীপের জেটিতে।
১৫তম বাংলা চ্যানেল সাঁতারের আয়োজক ছিল ‘অ্যাডভেঞ্চার ও এক্সট্রিম বাংলা।’
কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ থেকে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন পর্যন্ত ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বঙ্গোপসাগরের এ স্রোতধারাটির নাম ‘বাংলা চ্যানেল’।
আয়োজকরা জানান, বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেয়ার এই সাঁতার আয়োজনটি গত মার্চ মাসে হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠেনি। এবার চ্যানেল সাঁতারের আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে এই আয়োজন করা হচ্ছে। সাঁতারুরা ফ্রি হ্যান্ড সুইমিং করেন। নিরাপত্তার জন্য প্রত্যেক সাঁতারুর সঙ্গে একটি করে উদ্ধারকারী নৌকা ছাড়াও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সার্ভিস বোট ও ডুবুরিরা প্রস্তুত ছিল।
২০০৬ সাল থেকে প্রতিবছর এই আয়োজনটি হয়ে আসছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ থেকে সেন্ট মার্টিন পর্যন্ত বাংলা চ্যানেল হিসাবে পরিচিত ১৬.১ কিলোমিটার সাগরপথ সাঁতরে পাড়ি দিতে নাম লিখিয়েছেন ৪০জন জলমানব। এরমধ্যে তিনজন ছাড়া বাকিরা সবাই সফলভাবে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন।
সোমবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাট থেকে সাঁতার শুরু হয়। ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার ও এক্সট্রিম বাংলার আয়োজনে ১৫তম ফরচুন বাংলা চ্যানেল সাঁতার প্রতিযোগিতায় একজন ফরাসি নাগরিক, দুইজন নারী ও দুইজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন।
এবারের প্রতিযোগিতায় ৩ ঘণ্টা ২০ মিনিট সময় নিয়ে দ্রুততম সময়ে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেয়ার রেকর্ড করেছেন রাব্বি রহমান। এছাড়া ৩ ঘণ্টা ৩১ মিনিট সময় নিয়ে ঢাকসুর সাবেক সদস্য সাইফুল ইসলাম রাসেল দ্বিতীয় এবং ৩ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট সময় নিয়ে সুজা মোল্লা তৃতীয় হয়েছেন। এছাড়া দুই নারী প্রতিযোগী মৌনতা আফরিন ও সোমা রয় সফলভাবে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন।
ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার’র নির্বাহী কর্মকর্তা লিপটন সরকার বলেন, চ্যানেল সাঁতারের আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে এ আয়োজন করা হয়েছে। এটি আমাদের ১৫তম আসর। শুরু থেকে প্রতিটি আসরে আমি অংশ নিয়েছি এবং সফলভাবে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে সক্ষম হয়েছি। এবারও আমিসহ আরও ৪৩ জন প্রতিযোগী বাংলা চ্যানেল সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। এরমধ্যে ৪০ জন সফলভাবে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন।
প্রতিযোগী দলের নারী সদস্য ও বুয়েট শিক্ষার্থী সোমা রয় বলেন, প্রথমবার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে এসে সফল হয়েছি। এখন আরও বড় সাফল্যের পেছনে ছুটতে হবে।
দ্রুত সময়ে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে রেকর্ড করা রাব্বি রহমান বলেন, ‘বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন দেখছি আমি। আমার টার্গেট ছিল যে কোনও মূল্যে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে জয়ের স্বাদ নিতে হবে। আল্লাহ আমার সেই আশাপূরণ করেছেন। আগামীতে আরও বড় বড় অ্যাডভেঞ্চারে অংশ নিতে চাই। আমি আরও এগিয়ে যেতে চাই।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন