জেঁকে বসছে শীত, কাঁপছে উত্তরাঞ্চল
জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। ইতোমধ্যে কনকনে ঠান্ডা হাওয়া বইতে শুরু করেছে দেশের উত্তরাঞ্চলে। গ্রামের মানুষজন এরইমধ্যে লেপ-কম্বলের নিচে নিজেকে সমর্পণ করছেন। ইট-কাঠের শহর ঢাকায় শীত আসতে একটু দেরি হলেও আর বুঝি বেশি অপেক্ষা করতে হবে না!
এবার শীতের শুরুতেই ঘন কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। ডিসেম্বরেই ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারিদিক। আগামী তিন দিন রাতের তাপমাত্রা আরও কমবে। একই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
সোমবার (৭ ডিসেম্বর) আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে এ কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এদিন সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
সারাদেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে আগামী তিন দিনে রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে।
রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ৩১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সীতাকুণ্ডে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে কুড়িগ্রামসহ উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায় বেড়েছে শীতের দাপট। সারাদিনেও মিলছে না সূর্যের দেখা। নভেম্বরের শুরুতে আগাম শীত দেখা দিলেও, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা উঠানামা করছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। সোমবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশার সাথে বইছে হিমেল হাওয়া।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার কৃষি আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, লঘু চাপের প্রভাবে হালকা ও শুষ্ক আবহাওয়ায় রাতের তাপমাত্রা কমে শীতের অনুভূতি বাড়ার সঙ্গে মধ্যরাত থেকে কুয়াশারও দেখা মিলবে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, নভেম্বর মাসের শেষদিকে আবহাওয়ায় ঠান্ডা ভাব বিরাজ করে। উত্তরের হাওয়া না বইলেও ঝিরঝির বৃষ্টি শীতের অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়। হেমন্তে সন্ধ্যা-রাত-ভোরে কুয়াশা থাকা বা হালকা বৃষ্টি অস্বাভাবিক কিছু নয়। ঝিরঝির বৃষ্টির প্রবণতা কমে এলেও আগামী তিন দিন রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে পারে। ডিসেম্বরের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে আভাস রয়েছে।
শীতের দাপট বাড়ায় বিপাকে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধ এবং খেটে খাওয়া মানুষ। শীতের প্রকোপ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন তারা ।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করতে হয়েছে। রোববার রাত ২টা থেকে এ রুটে ফেরি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। সকালে কুয়াশার পরিমাণ বেড়ে গেলে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচলও বন্ধ করে দেয়া হয়।
এছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। ফলে নদী পারের অপেক্ষায় সিরিয়ালে আটকা পড়ে শতাধিক যানবাহন। একইসঙ্গে ঘন কুয়াশায় যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে মাঝ নদীতে আটকা পড়ে কয়েকটি ফেরি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন