এক মাসে ১২৮ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১৪১

চলতি বছরের অক্টোবর মাসের তুলনায় নভেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি উভয়ই বেড়েছে। অক্টোবর মাসে দেশের বিভিন্ন সড়কে ৩১৪টি দুর্ঘটনায় ৩৮৩ জন নিহত হয়েছিলেন। নভেম্বরে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪১৭টি। যা আগের মাসের তুলনায় ১০৩টি বেশি। এতে নিহত হয়েছেন ৪৩৯ জন এবং আহত ৬৮২ জন। অর্থাৎ অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ৩২ দশমিক ৮০ শতাংশ।

গত শনিবার (৫ ডিসেম্বর) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে এ সব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। সংস্থাটি ৭টি জাতীয় দৈনিক, ৫টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

সংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত মাসে দেশব্যাপী এককভাবে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। ১২৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১৪১ জন, যা মোট নিহতের ৩২ দশমিক ১১ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩০ দশমিক ৬৯ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১১৬ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২৬ দশমিক ৪২ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৪৯ জন।

এ সময়ে ৪ টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত ও ৮ জন আহত হয়েছেন। ২৯টি রেলপথ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩২ জন, আহত ৭।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১১১টি জাতীয় মহাসড়কে, ১৩৭টি আঞ্চলিক সড়কে, ১১৩টি গ্রামীণ সড়কে, ৫১টি শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে (ফেরিঘাট, ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ মাঠ ও ফসলের মাঠ) ৫টি সংঘটিত হয়েছে।

দুর্ঘটনাসমূহের ৯৭টি মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১০৫টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১২৬টি পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেয়া, ৭৬টি যানবাহনের পেছনে আঘাতে এবং ১৩টি অন্যান্য কারণে ঘটেছে।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির হার ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। জাতীয় মহাসড়কে সবসময় দুর্ঘটনার হার বেশি থাকলেও নভেম্বর মাসে জাতীয় মহাসড়কের তুলনায় আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়কে দুর্ঘটনার হার বৃদ্ধি পেয়েছে।

মোটরসাইকেল চালক ও পথচারী নিহতের ঘটনা চরমভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে অজ্ঞতা, অবহেলা এবং ট্রাফিক আইনের প্রয়োগহীনতা এর প্রধান কারণ বলেও তারা উল্লেখ করেছে।