চট্টগ্রামে ধর্ষণের পর শিশু মীমকে হত্যায় ৮ জনের ফাঁসি
তিন বছর আগে চট্টগ্রামে ৯ বছরের শিশু ফাতেমা আকতার মীমকে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় আট আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জামিউল হায়দার এ রায় দেন। এ রায়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছে নিহত মীমের স্বজনরা।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. বেলাল হোসেন, রবিউল ইসলাম, মইনুল ইসলাম, আকমান মিয়া, মো. সুজন, হাসিবুল ইসলাম হাসিব, মো. মেহরাজ টুটুল ও শাহদাত হোসেন সৈকত। এদের মধ্যে শাহদাত হোসেন সৈকত পলাতক।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারি বিশ্ব কলোনী এলাকায় খেলাধুলা করছিল ৯ বছরের শিশু মীম। এরপর সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘরে ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে তার পরিবারের সদস্যরা। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বিশ্ব কলোনীর মমতাজ ভিলা ভবনের আসামি মেহেরাজ টুটুলের বাসার দ্বিতীয় তলায় মীমের মরদেহ পাওয়া যায়। হত্যার আগে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়।
এ ঘটনার পরদিন মীমের মা রাবেয়া বেগম বাদী হয়ে নগরীর আকবার শাহ থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে আট জনকে আসামি করে চার্জশিট দেয় পুলিশ। ২৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আট আসামিকেই ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আট আসামির ফাঁসির আদেশ হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন নিহত মীমের পরিবারের সদস্যরা। দ্রুত ফাঁসির আদেশ কার্যকর করারও দাবি জানান তারা।
এ রায়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী রাজীব সেন গুপ্ত।
রায় ঘোষণার সময় আট আসামির মধ্যে সাতজন উপস্থিত ছিল। বাকি একজন পলাতক।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন