হাজার কোটি টাকার ব্যবসার ফাঁদে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা

হাজার কোটি টাকা ব্যবসার পরিকল্পনা দেখিয়ে পাতা হয় ফাঁদ। আর সে ফাঁদে পা দেন অবসরপ্রাপ্ত উধ্বর্তন সরকারি কর্মকর্তারা। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে পাঁচ সদস্যদের এমনই এক প্রতারক চক্র। তারা বলছে দেশজুড়ে এমন শত শত চক্র ছড়িয়ে আছে।

রাজধানীর অভিজাত এলাকায় জমকালো অফিস। ভিকটিমের সামনে হাজার হাজার কোটি টাকার মাল্টিন্যাশনাল ইন্ডান্ট্রির গল্প।

আমদানি রফতানির অধিক মুনাফার ব্যবসায় বিনিয়োগের আহ্বান। দেখানো হয় ব্যবসার বিদেশি পার্টনারকেও। ভিকটিমের টাকার লোভকে তাতিয়ে দিতে চলে জুয়া খেলা বা অভিজাত হোটেলে আড্ডাও।

রাজধানীর গুলশান থানায় ২টি এবং ভাটারা থানায় মামলায় ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকার অভিযোগের ভিত্তিতে ৫ প্রতারককে গ্রেফতার করে। জব্দ করে ৮৫ লাখ টাকা।
দেশের এত বড় দায়িত্বশীল পদে কাজ করার পরেও কেন প্রতারক চক্রের ফাঁদে জড়ালেন? প্রশ্ন ছিল ভিকটিমের কাছে।

ভিকটিমদের একজন জানান, তারা (প্রতারক) এমনভাবে কথাবার্তা বলছে, মনে হয় সব সত্যি। পরে আমি বলি, এটা তো বাসা। তখন তারা বলেন, আমাদের অফিস রেডি হচ্ছি। শুক্রবার আপনাকে নিয়ে যাবো।

শুধু প্রতারক চক্র ধরেই এ অবস্থার উন্নতি সম্ভব নয় বলে জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান। তিনি বলেন, যাকে একদিনের জন্য বাসাভাড়া দেবেন এবং তালাচাবি দেবেন, শুরুতে তার থেকে ন্যাশনাল আইডি কার্ড, জন্মসনদ ছাড়া ভাড়া দেবেন না।

সমাজের লোভের আগ্রাসন কমিয়ে প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতার।