আরো খবর..
‘বিদ্রোহী প্রার্থী হলে নৌকায় উঠতে পারবে না’: নানক
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়া মানে নেত্রীর সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করা। যারা নেত্রীর সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হবেন, তারা কখনো দলের সদস্য পদ পাবেনা, আওয়ামীলীগের নৌকায় উঠতে পারবেনা।
শনিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর ও অবমাননার প্রতিবাদে আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, দলে একাধিক যোগ্য প্রার্থী থাকতে পারে। তবে নেত্রী যাকে চুড়ান্তভাবে মনোনীত করবে তার পর আভ্যন্তরিণ কোন কোন্দল থাকতে পারেনা। যারা আওয়ামীলীগ করবে, তাদের সকলকে নেত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নৌকার পক্ষে কাজ করতে হবে। দলকে নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোন বিদ্রোহী আওয়ামীলীগের নৌকায় আর চড়তে পারবেনা। যারা বিদ্রোহ করবে, প্রতিবাদ করবে তারা দলের সদস্য পদ আর পাবে না বলেও জানান তিনি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্সে’র চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি’র সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমা এমপি, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কল্যান মিত্র বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর নির্বাচনের আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী নির্মলেন্দু চৌধুরী প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে তিনি আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী নির্মলেন্দু চৌধুরীর পক্ষে শহরে জনসংযোগ করেন।
অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে চান আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকুল
এদিকে খাগড়াছড়ি পৌরসভার অসমাপ্ত কাজ শেষ করে পরিবেশবান্ধব, যানজটমুক্ত, পরিচ্ছন্ন পর্যটন নগর গড়ার অঙ্গীকার করেছেন বর্তমান মেয়র ও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো: রফিকুল আলম। পৌরসভার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।
শুক্রবার (১লা জানুয়ারি) সকালে পানখাইয়া পাড়ায় নিজ বাসায় আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ অঙ্গীকার করেন। দ্বিতীয় ধাপে আগামী ১৬ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য খাগড়াছড়ি পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী মো: রফিকুল আলম ইভিএম নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন এবং সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশে জনগণ যদি ভোট দিতে পারে তার বিজয় নিশ্চিত দাবি করে ভোট গ্রহণে স্বচ্ছতার মানদন্ড নিশ্চিত করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়েছেন।
মো: রফিকুল আলম বলেন, খাগড়াছড়ি পৌরসভা জরাজীর্ণ প্রতিষ্ঠান ছিল। সেখান থেকে উন্নয়নমুখী একটি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করা হয়েছে। পরিকল্পিত আধুনিক শহর করতে মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী উন্নয়ন কাজ চলছে। অন্য প্রার্থীরা পৌর কর নিয়ে মিথ্যাচার করছে জানিয়ে তিনি বলেন, পৌর কর আদায়ের হার নিম্নে ৭৫শতাংশ থাকতে হবে। এর নিচে হলে পৌর পরিষদ বাতিল হয়। তাই বার্ষিক মূল্যায়ন পদ্ধতি অনুসরণ কর নির্ধারণ করতে হয়। দেশি-বিদেশি সব প্রতিষ্ঠান প্রকল্প দেওয়ার আগে পৌরসভার কর আদায়কে গুরুত্ব দেয়। ইভিএম নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আশঙ্কা রয়েছে জানিয়ে প্রশাসনকে সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন আয়োজনের অনুরোধ জানান রফিকুল আলম।
তিনি বলেন, কোন প্রার্থীর বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নেই। আমি দায়িত্বে আছি, এ কারণে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকতে পারে। তিনি নিজেকে আবারও সম্মিলিত নাগরিক কমিটির মনোনীত প্রার্থী দাবি করে বলেন, ২০৩৭সালে খাগড়াছড়ি পৌরসভা কি হতে পারে সেই মাস্টার প্লান নিয়ে এগুচ্ছে। খাগড়াছড়ি পৌরসভার অসমাপ্ত কাজ শেষ করে পরিবেশবান্ধব, যানজটমুক্ত এবং পরিচ্ছন্ন পর্যটন নগরী গড়ার অঙ্গিকার করেছেন। খাগড়াছড়ি পৌরসভা জরাজীর্ন প্রতিষ্ঠান ছিল। সেখান থেকে উন্নয়নমুখী একটি প্রতিষ্ঠানে রুপান্তরিত করা হয়েছে। পরিকল্পিত আধুনিক শহর করতে মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী উন্নয়ন কাজ চলছে। পরপর দুইবার পৌরবাসী আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার পর এ পৌরসভাকে একটি আস্থার ঠিকানা ও জনবান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছি।
এ সময় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব হোসেন আহম্মেদ, প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট এডভোকেট আকতার উদ্দিন মামুন, সম্মিলিত নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব হোসেন আহম্মদ চৌধুরী, সদস্য তাজুল ইসলাম বাদল, আব্দুল মোমিন, আব্দুল জব্বার ও নুরুন্নবীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ প্রমুখরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বর্তমান পৌর মেয়র মো: রফিকুল আলম নৌকা প্রতীকের প্রত্যাশি থাকলেও শেষ পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে পাল্টা শো-ডাউন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তিনি এবার মোবাইল ফোন প্রতীক পেয়েছেন। গত ২০১৫সালের ৩০ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে পাঁচ প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বর্তমান মেয়র মো: রফিকুল আলম সম্মিলিত নাগরিক কমিটির প্রার্থী হিসেবে মোবাইল প্রতীক নিয়ে ৯হাজার ৪শ ১৪ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। আর এ পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়িতে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় পাল্টা-পাল্টি হামলা-মামলা। মো: রফিকুল আলমের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগে তারই বড় ভাই খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম দলীয় পদ হারান। গত বছরের ৫ই ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি সদরসহ জেলার তিন পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীর প্যানেল তৈরি করতে বিশেষ বর্ধিত সভা হয়েছে। ওই সভায় খাগড়াছড়ি সদর পৌরসভায় মেয়র পদে ৭জনের নাম প্রস্তাব আসে। পরে ওই প্রস্তাবিত নামের তালিকা থেকে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী, বর্তমান পৌরসভার মেয়র মো: রফিকুল আলম ও জেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য পার্থ ত্রিপুরা জুয়েলের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়। ১৮ই ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ মনোনয়ন চুড়ান্ত করা হয়।
১৬ই জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে খাগড়াছড়ি পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্বতন্ত্র প্রার্থী-বর্তমান মেয়র মো: রফিকুল আলম, আওয়ামীলীগ-নির্মলেন্দু চৌধুরী, বিএনপি-ইব্রাহিম খলিল, জাতীয় পার্টি-মো: ফিরোজ আহম্মেদসহ মোট চারজন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
খাগড়াছড়ি পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডের ১৬ই জানুয়ারি ভোট গ্রহণ হবে। এবার মোট ভোটার ৩৭হাজার ৮৭জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ২০হাজার ৩৫১জন ও নারী ভোটার ১৬হাজার ৭শ ৩৬জন। খাগড়াছড়ি পৌরসভায় ভোট কেন্দ্র ১৮, আর বুথ ১০৯টি।
খাগড়াছড়িতে জাতীয় পার্টির ৩৬তম বর্ষপূর্তি উদযাপন
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাতে জাতীয় পার্টির এই দিনে এরশাদ তোমায় মনে পড়ে, স্লোগানে ৩৬বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে জাতীয় ও দলিয় পতাকা উত্তোলন, কেক কাটা ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে জেলা শাখার উদ্যোগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
শুক্রবার (১ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ১১টায় খাগড়াছড়ি শহরের আরামবাগ জাতীয় পার্টির নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় পার্টির খাগড়াছড়ি জেলা শাখার আহবায়ক মনিন্দ্র লাল ত্রিপুরার সভাপতিত্বে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নাঙ্গল প্রতীকে কাজ করার আহবানে বক্তব্য রাখেন, জেলা জাতীয় পার্টির মনোনীত খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র প্রার্থী মো: ফিরোজ আহাম্মেদ সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।
রিছাং ঝরনায় পা পিছলে পানিতে ডুবে পড়ে ২ পর্যটকসহ ৩ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার পৃথক ঘটনায় রিছাং ঝরনায় পা পিছলে পানিতে ডুবে পড়ে ২ পর্যটকসহ ৩ব্যক্তি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রিছাং ঝর্ণাতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে ২ পর্যটকের অকাল মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলেন- খাগড়াছড়ি জেলা সদরের রুখই চৌধুরী পাড়ার প্রীতম নাথ(২৩) এবং লক্ষীপুরের বাসিন্দা অপু চন্দ্র দাশ(২৪)। প্রীতম খাগড়াছড়ি জেলা শহরের পানখাইয়া পাড়া এলাকার মৃত দুলাল নাথের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, মূল রিছাং ঝর্ণার উপরে আরেকটি ঝর্ণা রয়েছে। যেটি অনেক গভীর ও দুর্গম। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহতরা ওই ঝর্ণায় গোসল করতে যায়। এ সময় পানিতে ডুবে তাদের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে।
খাগড়াছড়ি ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক সন্তোষ ধামাই জানান, বিকেলে স্থানীয় একজন পানিতে মরদেহ দেখতে পায়। মাটিরাঙ্গা থানার পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ আলী জানান, দুপুরে দুই বন্ধু মোটর সাইকেলে ঝরনায় ঘুরতে আসেন। তারা পাহাড় বেয়ে ঝরনার উপরের অংশে উঠেন। তখন পা পিছলে দুইজনই নিচে পড়ে যান। সাঁতার না জানায় দুইজনের কেউ উঠতে পারেনি। মরদেহ দু’টি উদ্ধার করা হয়ছে।
এদিকে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় নুরুল আলম(৩৫) নামের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নুরুল মাটিরাঙ্গার গোমতি ইউনিয়নের মালেক মাস্টারপাড়ার মাসুক মিয়ার বড় ছেলে। বৃহস্পতিবার(৩১ ডিসেম্বর) সকালে ঘরের ভেতর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবী তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
মাটিরাঙ্গার গোমতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: ফারুক হোসেন লিটন জানান, নুরুল দীর্ঘদিন থেকে মানসিক রোগে ভুগছিলো। অকারণে রেগে যেত সে। মানসিক রোগে ভোগার কারণে এক বছর আগে তার স্ত্রী তাকে ডিভোর্স দিয়েছে। মোহাম্মদ সাফায়েত নামে আট বছরের একটি ছেলে আছে।
মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আলী জানান, বিষয়টি যাছাই-বাছাই করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বই উৎসবে শিশুদের হাতে নতুন বই
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় ৯টি উপজেলাতে শুক্রবার(১লা জানুয়ারি) সারাদেশের ন্যায় মানিকছড়িতেও শুরু হয়েছে পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস। ‘নতুন বইয়ের গন্ধ শুঁকে ফুলের মতো ফুটব, বর্ণমালার গরব নিয়ে আকাশ জুড়ে উঠব’-এই স্লোগানকে সামনে রেখে পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবসের শুরু হয়েছে। বই উৎসব উপলক্ষে সরকারের বিধিনিষেধ মোতাবেক স্কুল ও মাদ্রাসাগুলোয় বসেছে শিক্ষার্থীদের আনন্দমেলা। নতুন বই পেয়ে শিক্ষার্থীরা বেজায় খুশি।
রাণী নিহার দেবী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে সকাল ১০টার দিকে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো: জয়নাল আবেদীন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামান্না মাহমুদ। পরে কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়,তিনটহরী উচ্চ বিদ্যালয়, মানিকছড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও মানিকছড়ি ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় বই উৎসব উদ্বোধন করা হয়।
মানিকছড়ি ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় বই উৎসবের উদ্বোধন করে মানিকছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, মহামারী করোনাভাইরাস এর কারণে সরকার ছোট্ট সোনামনিদের কথা চিন্তা করে এবারের বই উৎসব সীমিত পরিসরে করার ঘোষণা দিয়েছেন। এবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৩৪কোটি বই বিতরণ করা হবে।
এদিকে শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিন এবং বই উৎসবে শিশুদের হাতে নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার দীঘিনালা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে বই বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাশেম। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি লিপি দেওয়ানের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দীঘিনালা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) সুস্মিতা ত্রিপুরা, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মো: মাইনুদ্দীন, উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার রাঙ্গা মারমা, সোনামিত্র চাকমা, দীঘিনালা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কামনা ত্রিপুরা প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে ১ম হতে ৫ম শ্রেণির ৪৪২জন শিক্ষার্থীর মাঝে ২০২১শিক্ষাবর্ষের নতুন বই বিতরণ করা হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন