প্রতিহত করতে হবে অর্থপাচারকারীদের
গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রকল্পের দুর্নীতির তথ্য সরকারও পর্যালোচনা করে দাবি করে সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) ‘বঙ্গবন্ধুর ব্যাংকিং নীতি’ নিয়ে রাজধানীর পল্টনে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এখন উন্নয়নের যে গতি, তাতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সবসময় ভারসাম্য নাও থাকতে পারে। এদেশের মানুষ এখন বিদেশেও গাড়ি বাড়ি করছে। এটা আমাদের শক্তির জানান দিচ্ছে। কিন্তু এদেশে করা আয়ের একটা অংশতো সরকারের প্রাপ্য, তা দিচ্ছেন না অনেকেই, এমনকি ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে আসলসহ পাচার করে দিচ্ছে। পত্রপত্রিকায় রোমাঞ্চকর খবর দেখি, তাদের বান্ধবীদের নিয়েও তথ্য দেখি। এসব ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। আইনের প্রয়োগ করতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর অল্প সময়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল করেছিলেন জাতির জনক। তারর আমলে জিডিপি সাত শতাংশও ছাড়িয়েছিল। তিনি সব শ্রেণীর মানুষের উন্নয়নকে গুরুত্ব দিতেন। তাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের উন্নয়নও থমকে দেয়া হয়। দুঃখজনক হলেও সত্য অনেকেই এখনো দেশের স্বাধীনতা, উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা মানতে পারেন না।
সেমিনারে সাবেক ব্যাংকার হেলাল আহমেদ চৌধুরী বলেন, দেশের প্রান্তিক মানুষকে আর্থিক সেবার আওতায় আনতে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর ব্যাংকখাতকে জাতীয়করণ করেন।
তিনি বলেন, বৈষম্য কমিয়ে সবার উন্নয়ন নিশ্চিতে জাতির পিতার নেওয়া পদক্ষেপের সুফল পেয়েছে মানুষ।
হেলাল আহমেদ বলেন, স্বাধীনতার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো বিদেশি মুদ্রার মজুদ ছিল না। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য শুরু করার উপায় ছিল না।
বঙ্গবন্ধু দ্রুত সে সমস্যার সমাধান করেন তা দূরদর্শী নেতৃত্ব। আইএমএফের সদস্য হওয়া থেকে শুরু করে অর্থনীতির আন্তর্জাতিক ফোরামে অংশগ্রহণে তিনি উদ্যোগী ছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও পদ্মাসেতুসহ বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন যা দেশের মানুষের জীবন মান উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে।
সেমিনারে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিস্ট ফোরামের প্রেসিডেন্ট ড. এনায়েত করিম বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ধরে রাখলে ২০৩০ সালে বিশ্বের ২২ তম অর্থনীতি হবে বাংলাদেশ। তারমতে, সেসময় বাংলাদেশ ঘাটতি কাটিয়ে বাণিজ্যে উদ্বৃত্ত থাকবে। সেসময় দেশেই বিপুল কর্মসংস্থান হবে, এবং অনেক বিদেশিরাও এদেশে কাজের জন্য আসবে বলে মনে করেন তিনি।
সেমিনার শেষে, ডেইলি ইন্ডাস্ট্রি পত্রিকার পক্ষ থেকে গতবছরের কার্যক্রম মূল্যায়নের ভিত্তিতে মার্কেন্টাইল, কমিউনিটি, ফার্স্ট সিকিউরিটি, এসবিএসসি, স্ট্যান্ডার্ড, সাউথইস্টসহ মোট ১১ টি ব্যাংককে পুরস্কার দেয়া হয়।
মূলধন, সম্পদ, ম্যানেজমেন্ট, আর্নিংস, লিকুইডিটি, সেনসিটিভিটি- এসব ক্যামেলস (CAMELS) রেটিং সূচকে এবার সন্তোষজনক হিসেবে ব্যাংকগুলো পুরস্কার পায়। গত তিন বছর ধরে ক্যামেলস রেটিং এ স্ট্রং বা শক্তিশালী মানদণ্ডে কোনো ব্যাংক এ পুরস্কার পায়নি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন