টিকার কোনো ঘাটতি নেই: বেক্সিমকো
টিকার ঘাটতি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের দেয়া তথ্য সঠিক নয় বলে জানিয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন রাজধানীতে সাংবাদিকদের বলেন, চুক্তি অনুযায়ী ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ফেব্রুয়ারি এবং মার্চের টিকা আগে হাতে পাওয়ায় ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। এখানে ঘাটতির কোনো প্রশ্ন নেই।
জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে দেশে এসে পৌঁছায় করোনার প্রথম টিকা। সেরামের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম চলানে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা ছিল ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে। যা চলে আসে জানুয়ারির মধ্যেই। মার্চের মধ্যে আসার কথা রয়েছে আরো ১ কোটি ডোজ, যার ২০ লাখ ডোজ ২২ ফেব্রুয়ারিতে দেশে পৌঁছায়।
পরদিন (মঙ্গলবার) স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ঘাটতি রয়েছে ৩০ লাখ ডোজের। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউটকে চাপ দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ভারতের সেরামের ওপর আমরা চাপ প্রয়োগ করেছি। এখানে যারা সরবরাহকারী তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে।
আমদারিকারক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ঘাটতির বিষয় প্রশ্ন করা হলে প্রতিষ্ঠানের এমডি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, হঠাৎ করে সমস্যা যখন দেখা দিল ভ্যাকিসিন পাওয়ার অনিশ্চয়তা, আমদানি করতে দেবে না, আসতে পারবে না, তখন আমরা তাড়াহুড়ো করে ফেব্রুয়ারির শেষে ২৫ তারিখে এটা নিয়ে আসা হয়েছে, সে জন্য আসলে দ্বিধার সৃষ্টি হয়েছে। যেটা ফেব্রুয়ারিতে আসার কথা ছিল জানুয়ারির শেষে আনা হয়েছে। এ জন্য মনে হয় দ্বিধা তৈরি হয়েছে। এটা যদি ৫ দিন পর বা এক সপ্তাহ পর আনা হতো আজ এই দ্বিধা থাকত না। ফেব্রুয়ারিতে পাওয়ার কথা ৫০ লাখ, মার্চে পাওয়ার কথা ৫০ লাখ, আমরা এরই মধ্যে ৭০ লাখ পেয়ে গেছি।
চলতি বছরের জুলাইয়ের মধ্যে দেশে করোনার ৩ কোটি ডোজ পৌঁছানোর কথা এবং ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাস মিলিয়ে এক কোটি এবং ৬ মাসের মধ্যে ৩ কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা। সেই অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের আগেই ৭০ লাখ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। জানুয়ারি মাসেই ৫০ লাখ এবং ফেব্রুয়ারিতে আরো ২০ লাখ টিকা পেলেও
গতকাল সাংবাদিকদের ৩০ লাখ ডোজ টিকা কম পাওয়ার কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। মন্ত্রীর এ বক্তব্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ ভিন্নমত পোষণ করেছেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের এমডি নাজমুল হাসান পাপন। বেক্সিমকোর দাবি, চুক্তির চেয়ে বেশি টিকা এসেছে।
আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই চুক্তির ৩ কোটি ডোজ টিকা বাংলাদেশ পাবে বলেও জানিয়েছে বেক্সিমকো।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন