তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশ
সবুজের বুকে লাল-ছোট এ পতাকাটি পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মূল্য দিয়ে ওড়াতে হয়েছে। ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই মানচিত্র ৩০ লাখ শহিদের রক্তে ভিজেই উর্বর হয়েছে বহুগুণ। লক্ষ্য ছিল মানুষের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি। আর ৫০ বছরে সেই উর্বর ভূমির ফলন দেখেছে বিশ্ব।
স্বাধীনতার পর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জারের ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ উপাধি পাওয়া বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ‘উন্নয়নের রোল মডেল’। অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে বিশ্বকে তাক লাগিয়েছে।
এক অফুরন্ত সম্ভাবনার হাতছানি দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল এবং নিম্ন থেকে মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি মিলেছে।
অর্জনের খাতায় আরও আছে : নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, নিজস্ব স্যাটেলাইট, কর্ণফুলী টানেলসহ বিভিন্ন চলমান মেগা প্রকল্প। আর সবকিছুকে ছাপিয়ে ক্রিকেটের অবিশ্বাস্য উন্নতি বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে নতুনরূপে পরিচিতি দিয়েছে।
এসেছে বিশ্ব শান্তিতে নোবেলও। এখন ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছানোর স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। তবে অর্থনীতিতে অনেক অর্জন হলেও, এখনো মেলেনি রাজনৈতিক মুক্তি। বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় থমকে দাঁড়িয়েছে অগ্রযাত্রা।
দুর্নীতি, বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন ও গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে না-পারা, সুশাসনের অভাব এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংঘাতের কারণে অপার সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগানো যায়নি।
জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ৫০ বছরে দেশের অর্থনীতিতে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে।
স্বাধীনতার পর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছিলেন। অর্থাৎ, বাংলাদেশে কিছু থাকবে না।
সেখান থেকে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়, মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু, প্রাথমিক শিক্ষা এবং নারীশিক্ষাসহ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে বিশাল অর্জন হয়েছে।
এ ছাড়া ইতোমধ্যে এলডিসি থেকে উত্তরণে সুপারিশ মিলেছে। সেখানে মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে বেশ ভালো অবস্থান। তবে আত্মতুষ্টিতে ভুগলে চলবে না।
কারণ, অর্জনের পাশাপাশি অর্থনীতিতে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো রপ্তানি। তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের রপ্তানি খাত গার্মেন্টনির্ভর। কোনো কারণে বিশ্ববাজারে পণ্যটি মার খেলে অর্থনীতিতে বিপর্যয় আসবে।
এ খাতে রপ্তানিতে পণ্যের বহুমুখীকরণে জোর দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কারণ, কয়েক বছর ধরে আমাদের বিনিয়োগ বাড়ছে না। করোনায় তা আরও কমে গেছে।
এ অবস্থায় বিনিয়োগ আকর্ষণে বিশ্বব্যাংকের ডুয়িং ইজ বিজনেস (সহজে ব্যবসা করা) রিপোর্টসহ বেশকিছু সূচকে ভালো করতে হবে। রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রেও চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
আমাদের অধিকাংশ রেমিট্যান্স আসে মধ্যপ্রাচ্য থেকে। ফলে বাজার বহুমুখী করতে হবে। এ ছাড়াও বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে হবে। তিনি বলেন, এলডিসি উত্তরণ হলে নতুন কিছু চ্যালেঞ্জ আসবে।
এর মধ্যে রপ্তানিতে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা উঠে যাওয়া, দ্বিতীয় মেধাস্বত্বের জন্য মূল্য পরিশোধ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে স্বল্পসুদে ঋণ নেওয়ার সুবিধা থাকবে না। এটি বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে হবে।
মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে ১৯৭১ সালে বিশ্বে জন্ম নেয় বাংলাদেশ নামের স্বাধীন মানচিত্র। ওই বছরই জনসন নামের যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক বাংলাদেশকে ‘ইন্টারন্যাশনাল বাস্কেট কেস’ হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন।
ওই সময়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট নিক্সনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার তাতে সায় দিয়েছিলেন। বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে ১৯৭২ সালে নিউইয়র্ক টাইমসে ‘ইন্টারন্যাশনাল বটমলেস বাস্কেট’ শিরোনামে সংবাদ ছাপা হয়।
১৯৭৫ সালে ইউস্ট ফালান্ড ও জন পারকিনসনের বিশ্বখ্যাত গবেষণা-পুস্তকটির নামই ছিল বাংলাদেশ: এ টেস্ট কেস অব ডেভেলপমেন্ট। সেখানে বলা হয়, যদি বাংলাদেশের সমস্যার সমাধান হয়, তাহলে পৃথিবীর যে কোনো কঠিন সমস্যার সমাধান হবে।
এদের মুখে ছাই দিয়ে আজ বিশ্বে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। ৫০ বছরে বিশ্বে এখন উন্নয়নের রোল মডেল। আলোচ্য সময়ে দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক সূচকে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।
বাংলাদেশের মানুষের উদ্ভাবনী চিন্তা-চেতনার বাস্তবায়ন ও উদ্যোগী মনোভাবের কারণে দেশটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সম্পদ উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিশুমৃত্যুর হার, দারিদ্র্যবিমোচন, অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জন, রপ্তানি আয়, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, বৈদেশিক শ্রমবাজার, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, জননিরাপত্তা, সামাজিক বৈষম্য নিরসনসহ প্রায় সব সূচকেই পাকিস্তানকে ছাড়িয়েছে বাংলাদেশ।
বিশেষ করে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকে এশিয়া, আমেরিকা ও আফ্রিকার অনেক দেশকে পেছনে ফেলে বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে। মানুষের গড় আয়ু, শিক্ষার হার, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্যবিমোচন এবং মাথাপিছু আয়ে যেসব দেশ বিশ্বে দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
এর মধ্যে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। উন্নয়নশীল দেশের চূড়ান্ত স্বীকৃতিও মিলেছে। যে দেশকে শোষণ, বঞ্চনা, নানাবিধ আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করেছিল পাকিস্তান, আজ তারাই বাংলাদেশের মতো উন্নয়নের স্বপ্ন দেখে। শুধু তাই নয়, তাদের সংসদেও বাংলাদেশের উন্নয়নের উদাহরণ টানা হয়।
১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ছিল দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার। যা ১ বিলিয়নের কম। বর্তমানে তা ৩৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ, আলোচ্য সময়ে অর্থনীতির আকার ৬০০ গুণ বেড়েছে।
মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে ৮ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ওই সময়ে জাতীয় বাজেট ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে তা পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।
এর মধ্যে রাজস্ব আয় মাত্র ২৫০ কোটি টাকা থেকে তিন লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। ৫০১ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি আজ পৌঁছেছে দুই লাখ পাঁচ হাজার কোটি টাকায়। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র দুই কোটি ডলার।
বর্তমানে তা ৪৪ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। বর্তমানে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার যে রিজার্ভ রয়েছে, তা দিয়ে প্রায় এক বছরের আমদানিব্যয় মেটানো সম্ভব। এক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। দেশটির রিজার্ভের অর্থ দিয়ে মাত্র দু-মাসের আমদানিব্যয় মেটানো যাবে।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ১২৯ ডলার। বর্তমানে তা দুই হাজার ৬৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। আমদানি মাত্র ২৮ কোটি ডলার থেকে ৫৩ বিলিয়ন, রপ্তানি ৩৩ কোটি থেকে পৌঁছেছে ৩৪ বিলিয়ন ডলারে।
১৯৭২ সালে বাংলাদেশ রেমিট্যান্স আসত ৮০ লাখ ডলার। ৫ দশকে তা ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। মুদ্রার অবমূল্যায়ন হয়েছে। ওই সময়ে প্রতি মার্কিন ডলারের দাম ছিল সাত টাকা।
বর্তমানে প্রতি ডলারের দাম ৮৫ টাকা। অর্থনীতির পাশাপাশি সামাজিক সূচকেও ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। মানুষের গড় আয়ু ৪৭ থেকে ৭২ বছরে উন্নীত হয়েছে।
১৯৭২ সালে দারিদ্র্যের হার যেখানে ছিল ৮৮ শতাংশ, সেখানে আজ এ হার কমে ২০ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি ৪৭ থেকে সাড়ে ৫ শতাংশে নেমেছে। জাতিগঠনের অন্যতম উপাদান শিক্ষা।
৫০ বছরে সেখানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ১৯৭২ সালে শিক্ষার হার ছিল ২০ শতাংশ। বর্তমানে তা ৭২ দশমিক ৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। তবে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নতি হলেও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার গুণগতমান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
শিশুমৃত্যু প্রতি হাজারে ১৬০ থেকে কমে ৩ দশমিক ৮ এবং মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ১৬ থেকে ১ দশমিক ৭৩ শতাংশে নেমে এসেছে। ১৯৭২ সালে ১০ হাজার ৪৯০ জন মানুষের জন্য একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক ছিল।
বর্তমানে দুই হাজার ৫৮০ জনের জন্য একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে আগে শতভাগ অর্থ বরাদ্দ করা হতো বৈদেশিক অনুদান থেকে। এখন প্রায় ৬৬ শতাংশ বরাদ্দ করা হয় দেশীয় সম্পদের উৎস থেকে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশে জনসংখ্যা ছিল সাড়ে সাত কোটি। ওই সময় ৪০ শতাংশ খাদ্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে হতো। বর্তমানে জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। কিন্তু খাদ্য আমদানি করা হলেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে আবার খাদ্য রপ্তানি করা হচ্ছে।
ওই দেশে খাদ্য উৎপাদনের পরিমাণ ছিল এক কোটি ৮ লাখ টন। বর্তমানে তা বেড়ে চার কোটি ৫৪ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। এ ছাড়া শিল্প খাতের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ৫০ বছরে কৃষিকে ছাড়িয়ে গেছে শিল্প।
এ ছাড়া হালপ্রকৌশল, সফটওয়্যার ও ঔষধ শিল্প অনেক এগিয়েছে। বর্তমানে গার্মেন্ট শিল্পে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম। চীনের পরেই আমাদের অবস্থান। এ গার্মেন্টই বিশ্বে ‘মেইড ইন বাংলাদেশকে’ পরিচিতি দিয়েছে।
তবে স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশের শিল্প হিসাবে পাট, চা এবং চামড়া খাত এগিয়ে থাকলেও বর্তমানে খাতগুলো অনেক পিছিয়ে। শিল্পের চেয়ে বেশি এগিয়ে সেবা খাত। বর্তমানে জিডিপির ৫৪ শতাংশই সেবা খাত থেকে আসে।
নতুন নতুন সেবা যোগ হওয়ায় অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। সহজ হয়েছে সামগ্রিক কর্মকাণ্ড। বিশ্লেষকদের মতে, বৈষম্যের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে আমাদের পিছিয়ে রাখা হয়েছিল।
এগিয়ে গেছে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সব সূচকে। উন্নয়ন দেখতে ২০১৬ সালে বাংলাদেশে এসেছিলেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। ওই সময়ে তিনি বলেছিলেন, শুধু বলার জন্য নয়, দারিদ্র্যবিমোচনে সত্যিই আজ ‘বিশ্বে রোল মডেল’।
বিশ্বের অন্য দেশগুলোর সামনে বাংলাদেশকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরছে বিশ্বব্যাংক।
ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে এগিয়ে বাংলাদেশ। বর্তমানে বিশ্বের ইন্টারনেট ব্যবহারে শীর্ষ দশে রয়েছে বাংলাদেশের নাম। মহাকাশে রয়েছে বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট। বিশ্ব শান্তি নোবেল এসেছে বাংলাদেশে।
ক্রিকেটেও বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে বাংলাদেশিরা। ১৯৭২ সালে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ৪০০ মেগাওয়াট। চলতি বছর তা ২৪ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। তিন হাজার ৩১০ কিলোমিটার পাকা সড়ক থেকে ২২ হাজার কিলোমিটারে পৌঁছেছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, পাকিস্তান আমলে উন্নয়ন থেকে আমরা ছিলাম বঞ্চিত। অন্যান্য দেশের তুলনায় সামষ্টিক অর্থনীতিতে আমাদের স্থিতিশীলতা সন্তোষজনক।
বিখ্যাত সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাকস ১১টি উদীয়মান দেশের তালিকায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম প্রভৃতি দেশ রয়েছে এ তালিকায়। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাচ্ছে।
১৯৯১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দেশ পরিচালনায় থাকা সরকারের ধারাবাহিক অবদান রয়েছে। স্বাধীনতার মাত্র ৫ দশকেই বাংলাদেশ অবিশ্বাস্যভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে বিস্ময়করভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
১৯৭১ সালে শোষণ ও বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। তিনি বলেন, এখনো বাংলাদেশে প্রধান সমস্যা দুর্নীতি। এ দুর্নীতি রোধ করতে হবে। পাশাপাশি সর্বজনীন সুশাসন প্রতিষ্ঠা জরুরি। এ দুটি বিষয় সফলভাবে করতে পারলে বিশ্বে সব ক্ষেত্রে ‘রোল মডেল’ হবে বাংলাদেশ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন