ঈদের আগে শপিংমল ও দোকানপাট কি খুলবে?

দেশে করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ চলছে। জরুরি সেবা ছাড়া বন্ধ রাখা হয়েছে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান। বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস ও গণপরিবহন। দোকানপাট ও শপিংমলও বন্ধ রাখা হয়েছে।

এদিকে রমজানের ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসা করতে না পারলে পথে বসতে হবে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।

এমন পরিস্থিতিতে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে দোকান মালিকদের ধৈর্য ধরতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারের উচ্চপর্যায়ে আমরা যোগাযোগ করেছি। আশা করা যাচ্ছে, আগামী সোমবার থেকে দোকানপাট খুলে দেওয়া হতে পারে।

করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারের বিধিনিষেধের কারণে পয়লা বৈশাখের ব্যবসা হয়নি। তারপর চলমান লকডাউনের কারণে ঈদকেন্দ্রিক ব্যবসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা।

দোকান মালিক সমিতির দাবি, এবারও রমজানে ব্যবসা করতে না পারলে কর্মচারীদের বেতন দেওয়াই দায় হয়ে যাবে। তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলে দেওয়ার দাবি করে আসছেন।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন জানান, সোমবার রাতে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে টেলিফোনে তার কথা হয়েছে। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বলা হয়েছে- ‘এ মুহূর্তে জীবনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমবার আমরা মহামারি মোকাবিলা করতে পেরেছিলাম। কিন্তু করোনার এখনকার ধরন খুব খারাপ। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা কষ্ট করছে, সেটি আমরা দেখছি। আপনারা আরেকটু কষ্ট করেন। কারণ জীবনটা আগে বাঁচাতে হবে। আমরা দোকানপাট ও বিপণিবিতান খোলার বিষয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত দেব।’