বুথফেরত জরিপ: হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে আবারো ক্ষমতায় আসতে পারে মমতা

মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ দুর্যোগের মধ্যেই শেষ হলো পশ্চিমবঙ্গের বিধান সভা নির্বাচন। ২৯৪ আসনের ৮ দফার এই নির্বাচনের বৃহস্পতিবার(২৯ এপ্রিল) ছিল শেষ দফার নির্বাচন। শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় নির্বাচন। এই নির্বাচনের ফল ঘোষিত হবে ২ মে রোববার।

এদিকে ২৯৪ আসনের বিধান সভা নির্বাচন শেষে বুথফেরত জনমত জরিপ প্রকাশ ভারতের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার জানায়, এই জনমত জরীপে ২৯৪ আসনের বিধানসভায় দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতার কাছে পৌঁছতে পারেনি কোন রাজনৈতিক দল।
পশ্চিমবঙ্গে ২৯৪টি আসনের মধ্যে ২৯২টি আসনে ভোট হয়েছে। সমশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুই প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ওই দুই আসনে ভোট হবে ১৬ মে। এবিপি এবং সি-ভোটারের বুথ ফেরত জরিপ বলছে, ১৫২ থেকে ১৬৪টি আসন পেতে পারে তৃণমূল। যার অর্থ ফের ক্ষমতায় ফিরতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংস্থাটির মত, বিজেপি পেতে পারে ১০৯ থেকে ১২১টি আসন। বাম, কংগ্রেস এবং আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর জোট সংযুক্ত মোর্চা পেতে পারে ১৪ থেকে ২৫টি আসন।

এবিপি এবং সিএনএক্স-র মিলিত জরিপ বলছে রাজ্যে তৃণমূল পেতে পারে ১৫৭ থেকে ১৮৫টি আসন। ৯৬ থেকে ১২৫টির মধ্যে আসন পাওয়ার সম্ভাবনা বিজেপি-র। এ ছাড়া সংযুক্ত মোর্চা পেতে পারে ৮ থেকে ১৬টি আসন।
এ ছাড়া পি মার্কসের জরিপ বলছে রাজ্যে তৃণমূল পেতে পারে ১৫২ থেকে ১৭২টি আসন। বিজেপি পেতে পারে ১১২ থেকে ১৩২টি আসন। এ ছাড়া রাজ্যে ভোট যুদ্ধের অন্যতম শরিক সংযুক্ত মোর্চা পেতে পারে ১০ থেকে ২০টি আসন।

সিএনএন এবং নিউজ ১৮-এর জরীপ বলছে, রাজ্যে তৃণমূল পেতে পারে ১৬২টি আসন। বিজেপি পেতে পারে ১১৫ট আসন এবং সংযুক্ত মোর্চা পেতে পারে ১৫টি আসন।

আনন্দবাজার জানাচ্ছে, ঐতিহাসিক ভাবে সত্য যে এই ধরনের জরীপের ফলাফল যে সবসময়ে ঠিক হয় না। অনেক সময় দেখা গেছে জরীপের ফলাফল একেবারে পাল্টে গেছে। সাধারণত এমন জরীপ থেকে ফলাফলের আগাম একটা ইঙ্গিত পাওয়ার চেষ্টা করা হয়।

কিছুটা ব্যতিক্রমী সমীক্ষা ইন্ডিয়া টু ডে-র। তাদের দাবি, তৃণমূল ১৩০ থেকে ১৫৬ আসন পেতে পারে। বিজেপি পেতে পারে ১৩৪ থেকে ১৬০টি আসন। অন্য দিকে সংযুক্ত মোর্চা পেতে পারে সর্বোচ্চ ২টি আসন।