ঢাকামুখী মানুষের চাপ : তিল ধারণের ঠাঁই নেই ফেরিতে
ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড়ের চাপে ফেরিতে ছিলে না তিল ধারণের ঠাঁই। ফেরিতে সেই সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব ছিল উপেক্ষিত।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটে গিয়ে ‘আমানত শাহ’ ফেরিতে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। ফেরিতে নদী পারাপারের পাশাপাশি ছোট ছোট গাড়ির চাপও লক্ষ্য করা গেছে।
তবে প্রশাসনের লোকজন ফেরি কর্মকর্তাদের কম যাত্রী নেওয়ার পরামর্শ দিতে দেখা যাচ্ছে।
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ঈদের আগে ঘরমুখো মানুষের যে অতিরিক্ত চাপ ও জনস্রোত দেখা গিয়েছিল এখনও সেটি অব্যাহত আছে।
ফরিদপুর থেকে ঢাকায় ফেরা যাত্রী গার্মেন্টসকর্মী সাবিনা ইয়াসামিন বলেন, ঈদের আগে এই নৌরুটে দিয়ে ঘরে ফিরেছিলাম, আজ ঢাকায় ফিরছি। কিন্তু ঘাটে ফেরিতে যে প্রচুর ভিড় দেখছি তাতে নদী পার হওয়াটা মুশকিল। করোনাকালীন যাত্রীরা গাদাগাদি করে ফেরিতে পার হচ্ছে।
ফেরি ‘শাপলা শালুকের’ কর্মকর্তা রাকিবুল জানান, পাটুরিয়াঘাটে ভিড় না থাকায় ওপার থেকে ফেরি আসতে ২ ঘণ্টার মতো সময় লাগছে, তবে রোববারের থেকে আজকে দৌলতদিয়া ফেরিতে বেশি যাত্রী ঢাকায় ফিরছেন বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ফিরোজ শেখ বলেন, ঈদ শেষে মানুষ কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে। রোববারের চেয়ে সোমবার সকাল থেকে প্রচুর যাত্রী ফেরিতে নদী পার হচ্ছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন