পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় রস দিচ্ছে রসালো লিচু

পঞ্চগড় জেলাধীন তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ইতোমধ্যে উঠতে শুরু করেছে মৌসুমি সুস্বাদু ও রসালো ফল লিচু। তবে বাড়তি চাহিদা থাকায় ও লাভের আশায় পরিপক্ক হওয়ার আগেই ব্যবসায়ী ও চাষিরা লিচু বাজারে তুলেছেন বলে অভিযোগ করছেন সাধারণ ক্রেতারা। মৌসুমি নতুন ফলের স্বাদ নিতে দাম একটু চড়া হলেও কিনছেন তারা।

রোববার (২৩ মে) ভজনপুর বাজার ও মঙ্গলবার (২৫ মে) উপজেলা সদরের চৌরাস্তা বাজারের তেতুলতলাসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বাজারের ফলহাটি, রাস্তার সাইডে, রাস্তার মোড় গুলোতে কিংবা বাজারের ভিতরে কেনাকাটার সরু গলিগুলোতে সারি বেধে লিচুর ডালি নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। রঙিন লিচু তাদের ডালিগুলোতে শোভা পাচ্ছে। প্রতি একশ পিস লিচু বিক্রি করা হচ্ছে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা দরে।

জানাযায়, মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে আগাম জাতের টক-মিষ্টি স্বাদের বারি-১ বাজারে আসতে শুরু করেছে। যা আকারে বোম্বাই বা মাদ্রাজি জাতের চেয়ে অনেক ছোট। এরপর বাজারে আসবে বারি-২ ও বারি-৩। বারি জাতের লিচু এক থেকে দেড় সপ্তাহের মধ্যে পেকে যায়। থাকবে জুনের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। এরই মাঝে আসবে বোম্বাই, চায়না-৩, কাদমি, মোজাফফরপুরী, বেদানা, কালীবাড়ি, মঙ্গলবাড়িসহ অন্য জাতের লিচু। সব মিলিয়ে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত টসটসে রসে ভরা লিচু থাকবে বাজারে। এর মধ্যে উন্নতমানের জাত হিসেবে পরিচিত বোম্বাই, মাদ্রাজি, কাদমি, মোজাফফরপুরী, বেদানা, কালীবাড়ি, মঙ্গলবাড়ি, চায়না-৩, বারি-১, বারি-২ ও বারি-৩ জাতের লিচু। রসালো এসব লিচুর উৎপাদনও বেশি, আকারও বড়।

ভজনপুর বাজারে লিচু কিনতে আসা আবু সাহিদ জানান, লিচু একটি মৌসুমি ফল। তার বাড়িতে লিচুর গাছ আছে তবে এবছর লিচু ধরেনি। সেই জন্য তিনি বাজার থেকে লিচু কিনতে এসেছেন। তবে দাম কিছুটা সহনীয় হলেও লিচুগুলো এখনও পরিপক্ক না, তেমন মিষ্টিও না। শুধু মৌসুমি ফলের স্বাদ নিতেই লিচু কিনেছেন তিনি।

উপজেলার বহ্মতল গ্রামের দেবনগড় বাজারের লিচু ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ ও তেঁতুলিয়া চৌরাস্তা বাজারের তেতুলতলায় লিচু বিক্রেতা রুবেল ও মোশারফ হোসেন জানান, লিচু মৌসুমি ফল হওয়ার কারণে প্রথম দিকে বাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এ কারণে কৃষকরা বাড়তি লাভের আশায় লিচু পরিপক্ক না হওয়ার আগে বিক্রি করে দিচ্ছেন। পাইকারিতে লিচুগুলো ৭০ থেকে ২০০ টাকা দরে কিনেছেন। লিচুগুলো উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের লিচু বাগান মালিক থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে এসে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে এখনও আসল লিচু বাজারে আসেনি বলে জানান লিচু ব্যবসায়ীরা।