সিলেটে প্রবাসী বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা
যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রবাসী সমাজসেবীদের সংগঠন প্রবাসী বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে এ সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি যুক্তরাজ্য প্রবাসী সমাজসেবী এ এম আশিকের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. শামসুল ইসলাম।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ৭১ এর গর্বিত বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সংগঠন মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্ম সভাপতি সাংবাদিক কবি নাজমুল ইসলাম মকবুল।
অনুভুতি ব্যক্ত করেন সংবর্ধিত অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. এখলাছুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলফাজ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইলাছ মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. তৈয়ব আলী।
সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্বাস উদ্দিনের সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন শব্দকথা টোয়েন্টিফর ডটকম এর প্রধান সম্পাদক গল্পকার উপন্যাসিক প্রাবন্ধিক মুক্তিযুদ্ধকালীণ গণহত্যা বিষয়ক তথ্যচিত্র নির্মাতা কবি সাইফুর রহমান কায়েস।
প্রধান অতিথি ডা. মো. শামসুল ইসলাম প্রবাসী বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজনকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্যে বলেন, ‘জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান জানাতে পেরে আমরা গর্ববোধ করছি। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রিয়ভাবে সর্বোচ্চ সম্মান প্রদান করা হচ্ছে এটা তাদের অর্জন, তাদের প্রাপ্য।’
তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সতর্কতার সাথে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শণের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার কথা জানিয়ে বলেন, ‘ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখা হবে এবং কোন বীর মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসা সেবায় কোন ধরনের গাফিলতি করা হবে না।’
উদ্বোধকের বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্ম সভাপতি সাংবাদিক কবি নাজমুল ইসলাম মকবুল বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের যথাযথ মুল্যায়ন করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। ১৯৭১ এ বীর মুুক্তিযোদ্ধাদের অপরিসীম আত্মত্যাগ ও বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে আমরা অর্জন করি হাজার বছরের কাঙ্খিত স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতাকে অর্থবহ করে তুলতে হলে সাধারণ মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার আরও উন্নয়ন ঘটাতে হবে। যারা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে।’
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে শব্দকথা টোয়েন্টিফর ডটকম এর প্রধান সম্পাদক কবি সাইফুর রহমান কায়েস মুক্তিযুদ্ধকালীণ গণহত্যা বিষয়ক তথ্যচিত্র নির্মাণে সহযোগিতা চেয়ে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের অনেক ইতিহাস এখনও ছাইচাপা রয়ে গেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের জীবদ্দশায় এসব ইতিহাস ও তথ্য উদঘাটন করতে হবে। অনেক বীরঙ্গণা লোকলজ্জার ভয়ে তাদের ত্যাগের কথা চেপে গেছেন। তাদেরকে মুল্যায়ন করতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে প্রবাসী বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ এম আশিক ঐতিহাসিক এবং মহতি অনুষ্ঠানটি সফল করায় সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ সম্মান করা কারো দয়া নয়, এটা তাদের পাওনা। তিনি আরও বলেন, আমরা এই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবাসী বঙ্গবন্ধু পরিষদের উপদেষ্ঠা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে পেয়ে আনন্দিত ও গর্বিত।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্যচিত্র নির্মাতা ও চলচ্চিত্র গবেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের সন্তান ইমরুল হক তরফদার, রাজনীতিবিদ সমাজসেবী মো. আলম রেজা, মো. আশিক আলী, আসাদুজ্জামান নবীন, বেলাল আহমদ।
শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন হেলাল আহমদ।
অনুষ্ঠানে পাঁচজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে পরিষদের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন