নওমুসলিম হত্যাকান্ড দেশের সার্বভৌমত্বকে নিয়ে ষড়যন্ত্র -ঢাকা মহানগর আইএবি
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেছেন, বান্দরবানের বোয়াংছড়ি মসজিদের ইমাম নওমুসলিম ওমর ফারুক হত্যাকান্ডের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ ও আসামী ধরতে সরকার ও প্রশাসন এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনও অগ্রগতি দেখাতে পারেনি। আমরা এ হত্যাকান্ডকে স্বাভাবিক হত্যকান্ড হিসেবে দেখতে পারি না। আমরা মনে করি হত্যাকান্ডটি মুসলমানদের কলিজায় আঘাতের পাশাপাশি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি স্পষ্ট আঘাত।
২৪ জুন বৃহস্পতিবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর-এর এক জরুরী সভায় সভাপতির বক্তবে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, সেক্রেটারী মাওলানা আরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক মুফতী ফরিদুল ইসলাম, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন (পরশ) প্রমুখ।
তিনি আরও বলেন, ওমর ফারুক ত্রিপুরাকে হত্যার মধ্যদিয়ে সা¤্রাজ্যবাদী খ্রিস্টান মিশনারীরা একদিকে পাহাড়ী নওমুসলিমদেরকে ভীতসন্ত্রস্ত করে রাখার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে অন্যদিকে এ অঞ্চলকে এদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে লিপ্ত রয়েছেন। আমরা অনতিবিলম্বে ওমর ফারুক ত্রিপুরা হত্যাকান্ডের প্রকৃত রহস্য জানতে চাই এবং হত্যাকান্ডে জড়িত আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের মধ্যদিয়ে পাহাড়ী অঞ্চলের মানুষের নিরাপদ বসবাস দেখতে চাই।
নগর নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সুশীল সমাজ নামধারী একটি গোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামের ব্যাপারে চুপ থেকে বরাবরই দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে থাকেন। এই সুশীল নামের ধ্বজাধারী গোষ্ঠী দেশ ও জনগণের স্পষ্ট শত্রু। সরকারের উচিৎ পার্বত্য চট্টগ্রামের দিকে নজর দিয়ে দেশের ভেতরের ও বাইরের শত্রুদের মোকাবেলা করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন