নরসিংদীতে যৌতুক না দেওয়ায় বিয়ে অস্বীকার করলেন স্বামী!
নরসিংদী সদর উপজেলার শালিধা এলাকার আব্দুর রহিমের মেয়ে রাহিমা খাতুনকে একই উপজেলার করিমপুর কান্দাপাড়া এলাকার মোঃ ফারুক মিয়া প্রেমের ফাঁদে ফেলে কৌশলে নরসিংদী জজ কোর্টে নিয়ে হলফনামার মাধ্যমে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দেন মোহরানায় বিবাহ করেন। কিন্তু বিবাহের কিছুদিন পর হইতেই যৌতুকলোভী মোঃ ফারুক মিয়া ৫ লক্ষ টাকার যৌতুকের দাবীতে রাহিমা খাতুনের উপর অমানসিক নির্যাতন চালায়।
২৪ জুন বৃহস্পতিবার রাহিমা খাতুনের বাবা আব্দুর রহিম অভিযোগ করে বলেন, মেয়ের সুখের জন্য তিনি মেয়ের স্বামীকে ২ বার করে ৭০ হাজার টাকা দিয়েছেন। অথচ যৌতুকলোভী স্বামী ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক না পেয়ে আমার মেয়েকে বিভিন্ন সময় অমানসিক নির্যাতন করে। সে বিগত ২৮ মে ২০২১ রোজ শুক্রবার আমার মেয়ের নিকট জোর পূর্বক ৫ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবী করে। এতে আমার মেয়ে রাজি না হলে যৌতুকলোভী মোঃ ফারুক মিয়া আমার মেয়ের তলপেট সহ, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় অমানসিক নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে আমার মেয়ের নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত বেরুতে থাকে। তারপর খবর পেয়ে আমরা আমার মেয়েকে ঘটনাস্থল থেকে দ্রæত উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে তার চিকিৎসা করাই।
এ বিষয়ে আমার ওয়ার্ডের কমিশনারকে অবগত করলে, তিনি একটি শালিষের আয়োজন করে। কিন্তু উক্ত সালিশে মোঃ ফারুক মিয়া উপস্থিত হয় নাই। বরং তাকে ফোন সে এই বিয়ে অস্বীকার করে। তাছাড়া সে আমাকে ও আমাকে মেয়েকে হুমকি প্রদর্শন করে।
পরবর্তীতে কোন উপায় না দেখে ন্যায় বিচারে পাওয়ার আশায় নরসিংদী মডেল থানায় এই বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু তাতেও কোন সমাধান হয়নি। তাই জনগনের নিকট আমার ন্যায় বিচার চাই।
এ বিষয়ে মডেল থানার দায়িত্বে থাকা এসআই শাহীন বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমার এখানে অভিযোগ এসেছে। যেহেতু বর্তমানে আমি ছুটিতে আছি, তাই আমি এসে এটি তদন্ত করে সঠিক ব্যবস্থা নিব।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন