সাতক্ষীরায় দিন দিন লাশের মিছিল বাড়ছে, ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৪ মৃত্যু

সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে আরো ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদেরমধ্যে চারজনের করোনা পজেটিভ। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।

তবে বুধবার সন্ধ্যায় সামেক হাসপাতালে অক্সিজেন বিপর্যয়ের কারণে কমপক্ষে সাতজন মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অক্সিজেন বিপর্যয়ের ঘটনায় কেউ মারা যায়নি বলে দাবি করেছেন। এনিয়ে, জেলায় ৩০ জুন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৭৪ জন। আর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন অন্তত ৩৫০ জন।

এদিকে সাতক্ষীরায় বেড়েছে সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে আরও ৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময় সামেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১০৫ জনের। শনাক্তের হার ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। এর আগের দিন শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ০৮ শতাংশ।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ও জেলা করোনা বিষয়ক তথ্য কর্মকর্তা ডা. জয়ন্ত কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ৩০ জুন পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৪২৩ জন।

এদিকে সাতক্ষীরা করোনা ডেডিকেটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেন্ট্রাল অক্সিজেন বিপর্যয়ের কারণে ৭ জন রোগী মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার (৩০ জুন) সন্ধ্যায় ৭টার পর এই বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়। ফলে অক্সিজেনের অভাবে তারা মারা গেছেন বলে একাধিক রোগীর স্বজনের অভিযোগ।

সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার কুদরত-ই-খুদা অক্সিজেন সরবরাহ একেবারে বন্ধ হওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, সাময়িকভাবে অক্সিজেনের চাপ কম ছিলো। রাত ৮টার দিকে আবার তা স্বাভাবিক হয়ে আসে। হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ ছাড়াও ৭০/৮০ টি সিলেন্ডার সবসময় স্টকে রয়েছে। কাজেই অক্সিজেন সরবরাহ ঘাটতি হওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না আর এ কারণে কোনো রোগী মারা যায়নি।