আর্থিক অনিয়মের তদন্তে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির চিঠি
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০২০ শিক্ষা বর্ষের ছাত্র ভর্তি তহবিল হতে পেনশন ও ভবিষ্যৎ তহবিল প্রনয়ণ কমিটির অর্থ উত্তোলনে অনিয়মের ঘটনায় অাজ (১জুলাই) বিবৃতি অাকারে উপাচার্য বরাবর চিঠি দিয়েছে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোঃ কামরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ অাবু সালেহ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে জানান, “সম্প্রতি বাংলাদেশের কয়েকটি স্বনামধন্য প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির দৃষ্টিগোচর হয় উক্ত অার্থিক অনিয়মের বিষয়টি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পেনশন ও ভবিষ্যৎ নীতিমালা প্রনয়ণে দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘পেনশন ও ভবিষ্যৎ তহবিল প্রনয়ণ কমিটি’ ২০১৯- ২০২০ শিক্ষা বর্ষের ছাত্র ভর্তি তহবিল হতে এখতিয়ার বহির্ভূত ভাবে অর্থকমিটি ও রিজেন্ট বোর্ডের অনুমোদন ব্যতীত প্রায় সাড়ে সাত লাখ টাকা উত্তোলন করেছে, যা এখন পর্যন্ত সমন্বয়ও করা হয়নি। বরং অবৈধ ভাবে উত্তোলনকৃত এই টাকা বিধি বহির্ভূতভাবে পেনশন ও ভবিষ্যৎ নীতিমালা প্রনয়ণে আনুষাঙ্গিক খরচ ও কমিটি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মাঝে বন্টনের ব্যবস্হা করায় হয়, যা পুরাপুরি বেআইনি, অবৈধ ও অনৈতিক। এরূপ আর্থিক অনিয়মের নেতিবাচক সংবাদ বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের নিকট অত্যন্ত বিব্রতকর ও উদ্বেগের বিষয়ে পরিণত হয়েছে।”
বিবৃতিতে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি উক্ত আথিক অনিয়মের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান মাননীয় উপাচার্য মহদয়ের নিকট ।
বিবৃতিতে শিক্ষক সমিতি অারো উল্লেখ করেন, বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি সর্বদা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বদ্ধ পরিকর এবং সকল প্রকারের অন্যায়, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন