জুনে শনাক্ত ৭৮ শতাংশই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট
দেশে গত জুন মাসে শনাক্ত হওয়া কোভিড-১৯ আক্রান্তদের ৭৮ শতাংশই করোনার ভারতীয় ধরন বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। এর আগে মে মাসে এই হার ছিল ৪৫ শতাংশ। বর্তমানে দেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রাধান্য দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।
রবিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে আইইডিসিআর জানায়, সার্স-কোভ-২ ভাইরাসটি ২০১৯ সালে প্রথম শনাক্তের পর থেকে এখন পর্যন্ত অনেকগুলো ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। বাংলাদেশে সংক্রমিত মানুষদের মধ্যে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসটির ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের জন্য দেশে এই রোগটি শনাক্ত হওয়ার শুরু থেকে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর), আইসিডিডিআর,বি ও আইদেশী যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এসব নমুনার মধ্যে রয়েছে কোভিড-১৯ এর আলফা ভ্যারিয়েন্ট, যা ইউকে-তে প্রথম শনাক্ত হয়; বিটা ভ্যারিয়েন্ট, যা সাউথ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয়; ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট, যা ভারতে প্রথম শনাক্ত হয় এবং ইটা ভ্যারিয়েন্ট যা নাইজেরিয়াতে প্রথম শনাক্ত হয়। এছাড়া বি ১.১.৬১৮ নামে অপর একটি ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে, যা কোন দেশের ভ্যারিয়েন্ট তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি সংস্থাগুলো।
বাংলাদেশে ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিকোয়েন্সকৃত সব নমুনায় আলফা ভ্যরিয়েন্ট পাওয়া গেছে। মার্চ মাসের নমুনার ৮২ শতাংশে বিটা ভ্যারিয়েন্ট ও ১৭ শতাংশে আলফা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। এপ্রিলেও বাংলাদেশে কোভিড-১৯ সংক্রমিতদের মধ্যে বিটা ভ্যারিয়েন্টের প্রাধান্য ছিল। এপ্রিলে বাংলাদেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এই ভ্যারিয়েন্টের শনাক্তের হার বৃদ্ধি পেতে থাকে বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর।
সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, এই ভ্যারিয়েন্টটি মে মাসে ৪৫ শতাংশ ও জুন মাসে ৭৮ শতাংশ নমুনায় শনাক্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে গত জুন পর্যন্ত মোট ৬৪টি সংগৃহীত কোভিড-১৯ নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করা হয়েছে।
ভ্যারিয়েন্টের বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা দিতে আইইডিসিআর বলছে, ‘সারাবিশ্বে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসটি পরিবর্তিত হয়ে নতুন চেহারা ও বৈশিষ্ট্য ধারণ করছে যা ভ্যারিয়েন্ট নামে পরিচিত। সংক্রমণের গতি, রোগের জটিলতা (মৃত্যু হার ও হাসপাতালে ভর্তির হার), রোগ পরবর্তী ও টিকা গ্রহণ পরবর্তী রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতা বিবেচনায় কিছু কিছু ভ্যারিয়েন্টকে ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেমন আলফা, বিটা, গামা ও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।’
আইইডিসিআর’র পরামর্শ, যে ধরনের ভ্যারিয়েন্টই হোক না কেন তা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণই একমাত্র উপায়। এর সঙ্গে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে তা নেয়া প্রয়োজন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন