কাঁদলেন হাউমাউ করে
২২দিনের সন্তানের দুধও কিনতে পারছেন না যশোরের কর্মহীন সিএনজি চালক
যশোরের শার্শা উপজেলা নিজামপুর গ্রামের মো. শাহ আলম পেশায় একজন সিএনজি চালক। সিএনজি চালিয়ে চলতো তার সংসার। ঘরে তারা ২২ দিনের ছোট্ট শিশু সন্তান। চলমান কঠোর লকডাউনে তার একমাত্র আয়ের উৎস বন্ধ। ফলে সন্তানের দুধ কিনতে পারছেন না তিনি। সহ্য করতে পারছেন না সন্তানের কান্না। নিরুপায় হয়ে লোকজনের সামনেই চক্ষুলজ্জা ভুলে অশ্রু ভেজা চোখে সাহায্যের আকুতি করছেন বাধ্য হয়ে। কাঁদলেন হাউমাউ করে, অসহায় হয়ে।
বুধবার (৮ জুলাই) সকাল ১০ টার দিকে এমন নির্মম হৃদয়স্পর্ষী দৃশ্য দেখা গেছে যশোরের শার্শা উপজেলার নিজামপুর বাজারে।
সিএনজি চালক শাহ আলম ওই গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের পুত্র।
কান্না করতে করতে শাহ আলম বলেন, ‘আমার পরিবারের আমিই আয়ের একমাত্র ব্যক্তি। আমার চার সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে ৬ সদস্যের সংসার। দীর্ঘদিন আয়ের পথ বন্ধ থাকলেও থেমে নেই সংসারের খরচ। লকডাউনে গত (২৩) জুন থেকে সড়কে গাড়ি চালাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এরপর থেকে আর গাড়ি চালাতে পারিনি। কয়েক দিন প্রতিবেশীর কাছ থেকে ধার করে বাজার করলেও এখন আর তাও পাচ্ছি না।’
তিনি আরো বলেন, ‘ঘরে আমার ২২ দিন বয়সের একটা সন্তান রয়েছে। যার দু’দিন পরপর ২৫০ টাকা দিয়ে দুধ কিনে খাওয়াতে হয়। কিন্তু বর্তমান আমার কর্ম না থাকায় আমি দিশেহারা। অনেকের কাছে টাকা ধার চেয়েছি। এখন আর কেউ দিতে চাচ্ছে না। মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের পক্ষ থেকে আমাকে আজো কোনো সহযোগিতা করা হয়নি। চাইলে দিবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম সেতু জানান, ‘সকালে ঘটনাটি শোনার পর তাকে ডেকে বাচ্চার দুধ কেনার জন্য আমি তাকে কিছু অর্থ দিয়েছি। পরবর্তীতে তাকে আরো সহযোগিতা করা হবে।’
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর আলিফ রেজাকে বিষয়টি জানালে তিনি (ইউএনও) ওই ব্যক্তির (সিএনজি চালক) মোবাইল নম্বর চান।
তিনি বলেন, ‘আমি তার সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন