মোবাইল কোর্ট চলাকালীন

কুড়িগ্রামে এসিল্যান্ডের উপর চড়াও হলেন বাজার কমিটির সভাপতি

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার উমর মজিদ ইউনিয়নের ফরকেরহাট বাজারে লকডাউন বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় বাজার কমিটির সভাপতির বাধার মুখে পড়েন রাজারহাট উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকলিমা বেগম।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বাজার কমিটির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২০ জনের বিরুদ্ধে রাজারহাট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, বুধবার সন্ধায় রাজারহাট উপজেলার উমর মজিদ ইউনিয়নের ফরকের হাট বাজারে সহকারী কমিশনার ভূমি আকলিমা বেগম করোনার বিস্তার প্রতিরোধে রাষ্ট্রীয় দ্বায়িত্ব পালন করতে যান। সেখানকার এক চা বিক্রেতা ফরকেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটের পাশেই খোলা জায়গায় সরকারী বিধি অমান্য করে দোকান বসালে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে এসিল্যান্ড তা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। এরই জের ধরে বাজার কমিটির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু সেখানে উপস্থিত হয়ে এসিল্যান্ডের কাজে বাধা দেন এবং পরিবেশ উত্তেজিত করে এসিল্যান্ড ও পুলিশের সাথে মারমুখী আচরণ করেন।

ঘটনাটি প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোবাইল ফোনে ভিডিও করা হলে সেই মোবাইল ফোনটি মঞ্জুরুল ইসলাম কেড়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলেন বলে জানায় প্রতক্ষ্যদর্শীরা। তবে সেই চা বিক্রেতা প্রতিবাদ না করেই প্রশাসনের নির্দেশনায় দোকানটি সরিয়ে নেয় বলে জানায় স্থানীয়রা।

এব্যাপারে রাজারহাট উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকলিমা বেগস জানান, ‘সরকারী কাজে বাঁধা প্রদান করায় মামলা হয়েছে। এটি এখন আদালতের বিষয়।’

এবিষয়ে বাজার কমিটির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু জানান, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গুলো আনা হয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। উল্টো আমাকেই আঘাত করে আহত করা হয়েছে। আমি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি।’

ঘটনাটি মোবাইল ফোনে ধারণ করায় তার ফোনটি কেড়ে নেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এ ব্যাপারে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজু সরকার জানান, ‘সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী এসিল্যান্ডের নেতুত্বে ফরকের হাট বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে। এ সময় বাজার কমিটি সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর নেতৃত্বে বাজারের কিছু লোক মোবাইল কোর্টের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশের উপর চড়াও হয়। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রিয় কাজে বাঁধা দেয়ায় রাজার হাট থানার এএসআই আব্দুল্ল্যা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।’