ইউরোপজুড়ে হিজাব নিষিদ্ধের পায়তারা!
শর্ত সাপেক্ষে ইউরোপের বিভিন্ন কোম্পানিগুলো তাদের মুসলিম কর্মচারীদের হিজাব পরা নিষিদ্ধ করতে পারবে বলে রায় দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ আদালত। গত বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) এ রায় দেয়া হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, জার্মানির দুই মুসলিম নারীর করা মামলার প্রেক্ষিতে এ রায় দিয়েছে আদালত। ওই দু’নারীকে ইসলাম অনুসারে হিজাব পরার কারণে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ আদালত বলেছে, সামজিক বিভেদ ও বিতর্ক দূর করতে আর খদ্দেরদের কাছে নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি রক্ষায় (কোম্পানিগুলোর) মালিকপক্ষ কর্মক্ষেত্রে ধর্মীয় পোশাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে। শুধু ধর্মীয় নয় রাজনৈতিক আর দার্শনিক চিন্তা প্রকাশ করে এমন পোশাকের ক্ষেত্রে মালিক পক্ষ তাদের স্বার্থ অনুসারে পদক্ষেপ নেবে।
রায়ে আরও বলা হয়, কোম্পানিগুলোর মালিকরা কর্মক্ষেত্রে তাদের নিজেদের প্রকৃত স্বার্থ রক্ষার্থে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তা বৈধ। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন অধিকার ও স্বার্থের সমন্বয় ঘটাতে হবে। এসব বিষয়ে বিভিন্ন দেশের জাতীয় আদালত তাদের রাজ্যগুলোর বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। বিশেষ করে দেশগুলোর ধর্মীয় স্বাধীনতা নীতি অনুসারে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে তারা।
ওই দু’জার্মান মুসলিম নারীর একজন এক চাইল্ড কেয়ার সেন্টারের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের দেখভাল করতেন। এ চাইল্ড কেয়ার সেন্টারটি হামবুর্গ চ্যারিটেবল অ্যাসোসিয়েশন পরিচালনা করত। আরেক মুসলিম নারী মুয়েলার ড্রাগের এক চেইন স্টোরের ক্যাশিয়ার ছিলেন। এ দুই মুসলিম নারীই তাদের চাকরির শুরুতে হিজাব পরতেন না। কিন্তু, কয়েক বছর পর মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে তারা হিজাব পরা শুরু করেন।
এ সময় ওই দু’জার্মান মুসলিম নারীকে তাদের মালিকপক্ষ বলেছে যে তারা কর্মক্ষেত্রে হিজাব পরতে পারবেন না, হিজাব পরলে তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে। তাদের আরো বলা হয়েছে হিজাব ছাড়া চাকরিতে আসুন, নয়ত চলে যান। ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ আদালতের বিভিন্ন নথি অনুসারে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, বহু বছর ধরেই ইউরোপে হিজাব নিয়ে বিতর্ক চলছে। এরই মধ্যে ইউরোপের ১০ দেশ হিজাব নিষিদ্ধও করেছে। হিজাব ব্যবহারকারীদের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করে পর্দাপ্রথা বিলুপ্তিই তাদের লক্ষ্য বলে দাবি করেন ইসলামী চিন্তাবিদরা।
সূত্র : আলজাজিরা
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন