নওগাঁর ধামইরহাটে জোর পূর্বক রাস্তা নির্মানে বাধা দেয়ায় সংঘর্ষ
নওগাঁর ধামইরহাটে জোর পূর্বক রাস্তা নির্মানে বাধা দেয়ায় প্রতিপক্ষের মারপিটে একই পরিবারে ৭ জন জখম হয়েছে। জখমীরা ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। এ বিষয়ে ধামইরহাট থানায় একটি মামলার দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল। তবে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা আপোষ-মিমাংসার জন্যও দৌড়-ঝাপ করছেন বলে জানা গেছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আড়ানগর ইউনিয়নের চকরহমত গ্রামের আ. গণির ছেলে নজরুল ইসলামের বাড়ীর প্রাচীর সংলগ্ন জায়গা দিয়ে ৩০ জুলাই ভোর সকালে জোর পূর্বক রাস্তা নির্মানের চেষ্টা করে প্রতিপক্ষরা। বাদী নজরুল ইসলাম গ্রামবাসী ও সকলের শান্তির কথা ভেবে নজরুলের পার্শ্ববর্তী নিজস্ব জমি দিয়ে রাস্তা নির্মানের প্রস্তাব দেন। এতে প্রতিপক্ষ ওয়াহেদ শহিদুল সামাদ গং রা ২৫/৩০ জন নিয়ে নজরুলকে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করে। এ সময় নজরুলকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে নজরুলের ভাই মতিবুল, গোলাম মোস্তফা, স্ত্রী শাহনাজ, মেয়ে তানজিলা ও ভাতিজা এনামুল ও বিল্লাহকে মারপিটে জখম করে। জখমীরা গুরুত্বর হলেও বাদী নজরুলের ভাই মতিবুল ইসলাম আশংকাজনক অবস্থায় অন্যান্য জখমীদের সাথে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। মারপিটের সময় ৬ আনা ওজনের স্বণাংলকারও চুরি করে বিবাদী আজাদ হোসেন অভিযোগ সূত্রে জানা যায়।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে মারপিটের কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত ওয়াহেদ জানান, নির্মানাধীন রাস্তার উপর বেড়া আমরা তুলে দিতে গেলেই উভয় পক্ষের সাথে মারামারি হয়।
তবে ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী কমল জানান, রাস্তাটি ব্রিটিশ আমলের রাস্তা,জমির মুল বিক্রেতা ২ শতক জমি রাস্তার জন্যই ছেড়েই দিয়েছেন, কিন্তু উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় এই গন্ডগোলের মুলকারণ।
ধামইরহাট থানার ওসি আবদুল মমিন জানান, ঘটনার সত্যতা জানতে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে, বাদীর লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন