নেত্রকোনার মদনে মেয়ের জামাই ও তার প্রেমিকার বিরুদ্ধে শ্বাশুরি মামলা
নেত্রকোনার মদনে মেয়েকে আত্মহত্যার প্ররোচনা করার অভিযোগে মেয়ের জামাই ও তার প্রেমিকার বিরুদ্ধে প্ররোচনার মামলা দায়ের করেছে শ্বাশুরি কল্পনা আক্তার। সোমবার মদন থানায় মেয়ে জামাই টিপু মিয়া ও তার প্রেমিকা সোনিয়া আক্তারকে আসামী করে এ মামলা দায়ের করা হয়।
জানা যায়, উপজেলার ২নং চানগাওঁ ইউনিয়নে শাহাপুর গ্রামের রিকুলের ছেলে সাথে গত ৫ বছর আগে কাইটাইল ইউনিয়নের জঙ্গলটেঙ্গা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে হালেমা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের তামীম নামে দু’বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। এদিকে স্বামী টিপু মিয়ার পরকীয়া করার বিষয়টি স্ত্রী হালেমা জেনে যায়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত।
২২ সেপ্টেম্বর পরকীয়া প্রেমিকার একটি সন্তান জন্ম হলে স্ত্রী হালিমা আক্তার স্বামীর সাথে ২৩ সেপ্টেম্বর ঝগড়া করে গ্রামের বাড়ি জঙ্গটেঙ্গাচলে আসে। ২৪ সেপ্টেম্বর স্বামী টিপু মিয়া প্রথম স্ত্রী হালেমার নিকট থেকে জোড়পূর্বক তার পুত্র সন্তান তামীমকে কেড়ে নিয়ে আসে। এ নিয়ে গত শুক্রবার স্ত্রী হালিমা আক্তার আত্মহত্যা করেন।
মামলার বাদী কল্পনা আক্তার জানান, আমার মেয়েকে রেখে গোপনে টিপু মিয়া সোনিয়া আক্তার নামের একটি মেয়ের সাথে প্রেম করে। এমন কি তার একটি সন্তানও আছে। আমার মেয়ে বিষয়টি জানার পর থেকেই তাদের মধ্য কলহের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে আমার মেয়েকে মারপিট করে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। আমরা স্বামী স্ত্রী ঢাকায় বসবাস করি। আমার নাতী তামীম কে টিপু মিয়া শুক্রবার আমার মেয়ের নিকট থেকে জোরপূর্বক কেড়ে নিয়ে যায়। পরে আমার মেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যাপারে আমি থানায় একটি মামলা করেছি। আমি এর ন্যায় বিচার চাই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাসুদ জামালী জানান, আত্মহত্যার প্ররোচনা করায় স্বামী টিপু মিয়া ও প্রেমিকা সোনিয়া আক্তারের বিরুদ্ধে নিহতের মা কল্পনা আক্তার সোমবার একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন