সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে শেষ সময়ের দুর্গাপূজার প্রস্তুতি

সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলাজুড়ে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে চলছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি। এবছর উপজেলার ৪৯টি মণ্ডপে পালিত হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান এই ধর্মীয় উৎসব। তাই শেষ সময়ে প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ভাস্কররা।

প্রতিমা তৈরিতে সৌন্দর্য, চাকচিক্য, ভিন্নতার মধ্য দিয়ে সর্বাধিক প্রশংসার অধিকার লাভ করার জন্য উপজেলার প্রতিটি মণ্ডপে চলছে প্রতিযোগিতা। খড়, কাদামাটি ও বাঁশের সাহায্যে তাদের শৈল্পীক সৌন্দর্যের নিখুঁত হাতের ছোঁয়া লাগিয়ে চলছে দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গার আকৃতিদান। দেবী দুর্গার সাথে ধনের দেবী লক্ষ্মী, জ্ঞানের দেবী সরস্বতী, গনেশ, অসুর, মহিষ, কার্তিক, সিংহের মৃন্ময় তৈরী হচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিমায় আনা হচ্ছে আধুনিকতার চমক।

পঞ্জিকা বলছে, ২০২১ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার শুরু হবে ১১ অক্টোবর।

৬ অক্টোবর মহালয়ায় দেবীপক্ষ। ১১ অক্টোবর ষষ্ঠীতে দুর্গাপূজা শুরু হবে, চলবে ১৫ অক্টোবর দশমী পর্যন্ত। এর মধ্যে ১২ অক্টোবর সপ্তমী, ১৩ অক্টোবর অষ্টমী ও ১৪ অক্টোবর নবমী।

কালীগঞ্জ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে মোট ৪৯টি পূজামণ্ডপে এবার দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

সরজমিনে গেলে প্রতিমা তৈরীরত ভাস্কররা জানান, প্রতিমা তৈরীতে পৌরাণিক কাহিনীকে নানা আদলে ফুটিয়ে তুলার চেষ্টা চলছে। কারুকার্যতা শেষ হলে রং তুলির নিখুঁত আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। প্রকৃত রূপে তোলা হয়েছে নাক, কান, চোখ, মূখ ইত্যাদি দিয়ে। তবে এই কাজে পরিশ্রমের তুলনায় পারিশ্রমিক পর্যাপ্ত না হলেও দৃষ্টিনন্দন প্রতিমা তৈরি করতে মনের মাধুরী দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

কালীগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সনদ কুমার গাইন জানান, পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ প্রতিবারের মতো এবারও প্রশাসনের সর্বাত্মক সাহায্য ও সহযোগিতা পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করছি। সরকারিভাবে যে অনুদান আসে তা অতিদ্রুতই মণ্ডপ কমিটির কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।

কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, দুর্গাপূজায় আইন-শৃংখলা রক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে। পূজামন্ডপগুলোয় সাধারণত তিন ভাগে বিভক্ত করে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবারও পুলিশ সদস্য ও আনসার ভিডিপি সদস্যদের কঠোর নজরদারী থাকবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের কঠোর হাতে দমন করা হবে বলে জানান তারা।