বিয়ে করলেন প্রিন্সেস মাকো, হারালেন রাজকীয় সব অধিকার
অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন জাপানের প্রিন্সেস মাকো ও তার সহপাঠী-দীর্ঘদিনের বন্ধু কেই কোমুরো। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
বিয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রিন্সেস মাকো বঞ্চিত হলেন রাজকীয় সব অধিকার থেকে। এদিকে তাদের বিয়ে নিয়ে কয়েক বছর চলা বিতর্কের কারণে আনুষ্ঠানিকতা কম ছিল।
জাপানের নিয়ম অনুযায়ী, রাজবংশের বাইরে সাধারণ পরিবারের কাউকে বিয়ে করলে রাজকুমারীকে রাজকীয় পদমর্যাদা হারাতে হয় এবং রাজপ্রাসাদের সবকিছু থেকে বঞ্চিত হন। রাজপুত্রের ক্ষেত্রে অবশ্য সে নিয়ম খাটে না। এছাড়া জাপানের রাজ সিংহাসনে বসার অধিকার নেই নারীদের।
প্রিন্সেস মাকো রাজকীয় বিয়ের সাধারণ রীতিগুলোও বাদ দিয়েছেন এবং রাজ পরিবারের নারীদের পরিবার থেকে বিদায় নেয়ার সময় যে অর্থ দেয়া হয় তাও তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। মাকো রাজপরিবারের প্রথম নারী সদস্য যিনি এই দুটোই প্রত্যাখ্যান করেছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, প্রিন্সেস মাকো বিয়ের রেজিস্ট্রি করার জন্য তার টোকিওর বাড়ি থেকে বের হন স্থানীয় সময় আজ সকাল ১০টার দিকে। বাড়ি ছাড়ার আগে মা-বাবাকে একাধিকবার বো করেছেন তিনি। জড়িয়ে ধরেছেন বোন কিকোকে। ধারনা করা হচ্ছে, এই নবদম্পতি বিকেলের দিকে একটি সংবাদ সম্মেলন করবেন।
সহপাঠীর সঙ্গে প্রেম করলেও বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন ছিল রাজকুমারী মাকোর জন্য। কিন্তু রাজপ্রসাদের জৌলুস জীবনযাপন ছেড়ে সাধারণ ঘরের ছেলেকেই বিয়ে করলেন তিনি।
এর আগে শনিবার (২৩ অক্টোবর) জাপানের রাজকুমারী মাকোর ৩০তম জন্মদিন ছিল। শেষবারের মতো রাজপ্রাসাদে জন্মদিন পালন করেন তিনি। আর ৩০ বছর বয়সী কেই কোমুরো যুক্তরাষ্ট্রের একটি ল ফার্মে কাজ করেন। জানা গেছে, বিয়ের পর রাজপ্রসাদ ছেড়ে স্বামী কেই কোমুরোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাবেন প্রিন্সেস মাকো।
বিয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে জাপানে ফিরেছেন কোমুরো। তার পনিটেল দেখে জাপানের গণমাধ্যম সমালোচনাও করেছে। রাজকন্যার স্বামীর পনিটেল বিতর্ক তৈরি করেছে। জাপানের একাংশের মিডিয়া আবার যুক্তরাজ্যের প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মারকেলের সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেছে মাকো-কোমুরোর। জাপানের হ্যারি-মেগান বলা হচ্ছে তাদের।
২০১২ সালে জাপানের ইন্টারন্যাশনাল ক্রিশ্চিয়ান ইউনিভার্সিটিতে পরিচয় হয় প্রিন্সেস মাকো ও কেই কোমুরোর। এরপর পরিণয়। ২০১৭ সালে তাদের বাগদানও সম্পন্ন হয়। প্রিন্সেস মাকো বাগদানের ঘোষণা দেয়ার এক বছর পর ২০১৮ সালে তাদের বিয়ে করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তৈরি হয় নানা জটিলতা। পিছিয়ে যায় বিয়ের আয়োজন। দুই বছর পর অবশেষে তা মেনে নেন জাপানের ক্রাউন প্রিন্স ফুমিহিতো। সূত্র : বিবিসি ও ফার্স্টপোস্ট
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন