সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমৃদ্ধ এবং শান্তিপূর্ণ দেশ গড়বো, প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধারণ করে সকল নাগরিকের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা বাংলাদেশকে একটি ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক এবং শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো।

শুক্রবার (১২ নভেম্বর) গারো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব ‘ওয়ানগালা-২০২১’ উপলক্ষ্যে দেওয়া বাণীতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ধর্মীয় উৎসব ‘ওয়ানগালা’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আমি গারো সম্প্রদায়ের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এ বছর বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের বিষয় বিবেচনা করে সীমিত পরিসরে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ‘ওয়ানগালা’ ও ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমান কাল ধরে এদেশের গারো সম্প্রদায়ের মানুষ ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গড়ার প্রত্যয়ে অবদান রেখে যাচ্ছে। বাংলাদেশে গারো সম্প্রদায় নিজেদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধারণ করে যুগযুগ ধরে সকলের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। তাদের স্বকীয়তা, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, ভাষা, মূল্যবোধ ও ঐতিহ্য দেশকে সমৃদ্ধ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে গারো সম্প্রদায়ের অনেকেই ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে গারো সম্প্রদায়ের অবদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ এ আপ্তবাক্য ধারণ করে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের সব মানুষ যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করে যাচ্ছেন। আমরা দেশে বিরাজমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে একটি শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য বদ্ধপরিকর। আমি ‘ওয়ানগালা উৎসব-২০২১’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।