বাড়ছে শীত, তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড

দেশে বিভিন্ন এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রতিদিনই কমছে। শনিবার (১১ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায়। এর আগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রির নিচে নেমে গিয়েছিল। পরে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠে যায়।

শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কয়েকটি স্থানে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।

এসময়ে মাদারীপুরে ২ ও গোপালগঞ্জ ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। কুমিল্লা ও যশোরে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।

শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সকালের দিকে সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে।

এসময়ে সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ। শনিবার ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ৩২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে সরেজমিনে পঞ্চগড়ে ভোরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে চারদিক। কুয়াশার কারণে হেডলাইট চলছে যানবাহন। সকাল নয়টা পর্যন্ত শীত নিবারণের জন্য আগুন পোহাতে হচ্ছে নিম্নআয়ের মানুষদের। কুয়াশার সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দেয়। সূর্য উঠলেই ধীরে ধীরে কুয়াশা কেটে যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝলমলে কুয়াশা মিশ্রিত রোদ উঠলেও উত্তাপ ছড়ায় না। এতে গরম কাপড় ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। ভর দুপুরে শীতের পোষাক পরে মুড়িয়ে চলাফেরা করতে হয় পঞ্চগড়ে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের তীব্রতা বেড়ে যায় কিন্তু বিকেল গড়াতেই তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীতের আমেজ শুরু হয় তখন শীতল বাতাস বয়ে যায় পঞ্চগড়ে। রাতভর থাকে শীতের তীব্রতা। রাতে কনকনে বাতাসের সাথে প্রচন্ড শীত অনুভূত হচ্ছে পঞ্চগড়ে। আবার ভোররাত থেকে শুরু হয় কুয়াশা। নিম্ন আয়ের মানুষের দূর্ভোগও দিন দিন বাড়ছে।

তেতুঁলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগড় কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ আবহাওয়া অফিসের বরাদ দিয়ে জানিয়েছেন, তাপমাত্রা আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ডিসেম্বর মাসে। মাঘ মাসের শুরুতে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনাও রয়েছে।