বিজয় দিবসের ছুটিতে কুয়াকাটার সৈকতে পর্যটকদের ঢল
বিজয় দিবসের ছুটিতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে অপরুপ সৌন্দার্যের বেলাভ‚মি কুয়াকাটার সৈকতে। টানা তিনদিনের ছুটিতে পর্যটন কেন্দ্রের হোটেল-মোটেল গুলো ৯৫ শতাংশ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে।
১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে সাগর কন্যার নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত অসংখ্য ভ্রমন পিপাশুদের পদচারনায় এখন মুখরিত হয়ে উঠেছে এ পর্যটন কেন্দ্র। পায়রা সেতুসহ যোগাযোগ ব্যবস্থ্যা উন্নত হওয়ায় খুব সহজেই কুয়াকাটায় আসতে পারছেন এসব পর্যটকরা। ইতোমধ্যে রাখাইন পল্লী, ইকোপার্ক, ইলিশ পার্ক, লেম্বুর বন ও সৈকতের ঝাউবাগানসহ বেশিরভাগ পর্যটন স্পট পর্যটকদের পদচারণায় সরব হয়ে উঠেছে। ফলে হোটেল মোটেল ব্যবসায়ীরা বলছেন করোনা কালীন সময়ের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে অনেকটাই আশাবাদী তারা।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, সাগরকন্যা খ্যাত এই বালিয়ারিতে একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায় বলেই বিশ্বের বুকে কুয়াকাটার ঐতিহ্য রয়েছে। এছাড়া লাল কাকড়ার নৃত্য, সাগরের মোহনীয় গর্জনের সাথে আছড়ে পরা দৃষ্টিনন্দন ঢেউসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে ছুটে আসে লাখো পর্যটক। মূলত পর্যটন মৌসুমের নভেম্বর মাস থেকেই দর্শনার্থীদের আগমন বেড়েছে।
আর হোটেল মালিকরা বলছেন, ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে টানা তিনদিনের ছুটিতে অধিকাংশ হোটেল-মোটেল অগ্রীম বুকিং হয়ে গেছে। এখন পর্যটকদের চাহিদানুযায়ী রুম দিতে আমাদের হিমসিম খাচ্ছেন তারা। সমুদ্র বাড়ি রিসোর্ট’র ব্যবস্থপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম জানান, আমাদের রিসোর্টের সব রুম গুলো ১৬ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আগেই বুকিং হয়ে গেছে। ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা টোয়াক সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হাওয়ায় এবছর বিজয় দিবসের ছুটিতে বিগত বছরের চেয়ে বেশী পর্যটকদের আগমন ঘটবে বলে আমরা মনে করছি।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের জোন সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক জানান, ১৬’ই ডিসেম্বর উপলক্ষে পর্যাপ্ত পর্যটকদের সমাগম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষে বিভিন্ন দর্শনীয় পয়েন্টে আমাদের অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন