তরমুজ গাছ উপরে ফেলে কোন ভুল করেনি প্রকৌশলী মনির, বললেন নির্বাহী প্রকৌশলী

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পাউবোর প্রকৌশলী কর্তৃক সাড়ে তিন হাজার তরমুজ গাছ উপড়ে ফেলা ক্ষতিগ্রস্থ সেই কৃষকের ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন ইউএনও ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
বুধবার দুপুরে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় উপজেলার ধুলাসার ইউপির পশ্চিম চাপলী গ্রামের ওই ক্ষেত পরিদর্শনে যান তারা। পরিদর্শন শেষে ঘটনার সত্যতা পেয়ে আগামী তিন দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানিয়েছেন ইউএনও আবুহাসনাত মো. শহীদুল হক। তবে পানি উন্নয়ন বিভাগ বলছে গাছ উপরে ফেলে কোন ভুল হয়নি।

প্রায় ২ মাস আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বনবিভাগের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়ে ওই গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের ঢালে সাড়ে তিন হাজার তরমুজ গাছ রোপন করেন কৃষক দেলোয়ার হোসেন। কিন্তু গত ১৬ জানুয়ারী হঠাৎ সকল তরমুজ চারা উপরে ফেলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন বেড়িবাঁধ রক্ষা প্রকল্পের প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম। ওই কর্মকর্তার হা-পা ধরেও তাকে ফেরাতে না পেরে শেষে কান্নায় ভেঙে পরেন দেলোয়ার। এতে তার প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।

কৃষক দেলোয়ার কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, আমি মনির স্যারের হা-পা ধরে অনেক কান্নাকাটি করেছি। বলেছি প্রয়োজনে আমার নামে মামলা দেন। কিন্তু এই ক্ষতিটা করিয়েননা। তবু সে আমার কথা শোনেনি। আমি ব্যাংক থেকে ঋন নিয়ে এ ব্যবসা শুরু করেছিলাম। আগে তাদের থেকে অনুমতিও নিয়েছি। তখন তারা বাঁধা দেয়নি। আমার বড় সর্বনাশ হয়ে গেছে।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এমআরএম সাইফুল্লাহ জানান, কৃষক দেলোয়ারের ৮শ‘ মাদায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার তরমুজ গাছ হয়েছিলো। আর একমাস পরই এসব গাছে ফল আসতো। আমরা ঘটনাস্থল স্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সতত্যা পেয়েছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারবো।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, কলাপাড়া উপজেলায় ব্যাপক তরমুজের আবাদ হয়। এটা একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। এই কৃষকের বড় ক্ষতি হয়েছে। আমরা তার পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করবো। এবং তার ব্যাংক ঋন যেন মৌকুফ করা হয় সে ব্যাপরে আমরা সুপারিশ করবো।
এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে পনিউন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন জানান, বেড়িবাধের উপর কৃষকের গাছ লাগানো কোন অনুমতি নেই। প্রকৌশলী মনির হোসেন যদি গাছ উপরে ফেলেন সেটা ঠিক কাজ করেছেন,ভুল করেননি।