নাটোরের গুরুদাসপুরে এক ভাঙ্গা কালভার্টে ৬ গ্রামবাসীর দুর্ভোগে
নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরেরর আনন্দনগর মহল্লায় বক্স-কালভার্টের স্লাবের অর্ধেক অংশ ভেঙ্গে পড়ায় চরম দুর্ভোগে রয়েছেন ওই এলাকায় চলাচলকারী জনসাধারণ। বিকল্প সড়ক না থাকায় ঝুকিপূর্ণ ওই কালভার্ট দিয়েই জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে পথচারী ও যানবাহন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পৌর সদরের ৯নং ওয়ার্ড আনন্দনগর মহল্লার সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের উত্তর দিকে হ্যারিংবন্ড রাস্তার আব্দুল মতিনের বাড়ির সামনের কালভার্টটির উপরের স্লাব ভেঙ্গে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা মাটির বস্তা ফেলে ঝুকি নিয়ে চলাচল করলেও যেকোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ কালভার্টটি ওই এলাকার বাঘমারা বিলের পানি প্রবাহের একমাত্র মাধ্যম ও ৬টি গ্রামের কৃষকের উৎপাদিত ফসল আনা নেয়ার রাস্তায় অবস্থিত।
কালভার্টের স্লাব ভেঙ্গে পড়ায় আনন্দ নগর, কালাকান্দর, খুবজীপুর, খলিফাপাড়া গ্রামের কৃষক ও কৃষি শ্রমিকরা ওই এলাকার মাঠের জমির ফসল উৎপাদন ও ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
কালাকান্দর গ্রামের কৃষক মোবারক হোসেন জানান, বাঘমারা, বাহান্ন বিঘা, লজরের খাপালসহ ৫/৬টি মাঠের অন্তত ২ হাজার বিঘা জমির উৎপাদিত ফসল ওই পথেই আনা নেয়া করা হয়। কালভার্টটি ভাঙ্গা থাকায় যানবাহন চলাচল, জমি চাষ, ট্রাক্টর, ট্রলি, সেচযন্ত্র পরিবহণ এমনকি হাটা চলাচলেও বিঘ্নসৃষ্টি হচ্ছে। জীবনের ঝুকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে তাদের।
আনন্দনগর মহল্লার কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, দুই বছর আগে পুকুর খননের মাটি বহনের অভারলোড ট্রাকের কারণে কালভার্টটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তারা সংষ্কার করে দেওয়ার কথা বলে সংষ্কার না করেই চলে গেছে। এতে অফিস, আদালত, স্কুলগামী শিশুসহ কৃষি শ্রমিকদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী জানান, কালভার্টের দুরাবস্থার বিষয়টি তিনি অবগত। তার পরামর্শে পৌর প্রকৌশলী সরেজমিন পরিদর্শন করে এসেছেন। আগামী টেন্ডারে সংষ্কার কাজ অন্তর্ভুক্ত করে জনদুর্ভোগ লাঘব করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন