কোনো কিছুই ভালো লাগে না বিএনপির : এনামুল হক শামীম
পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন; পদ্মাসেতু, কর্ণফুলী নদীতে বঙ্গবন্ধু ট্যানেল, চার লেনের রাস্তা, ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল হয়েছে, এক্সপ্রেসওয়ে হয়েছে। যারা রাস্তায় ঘুমাতো তারা এখন স্থায়ী বাড়িতে ঘুমায়। এসব দেখে একটি দলের ভালো লাগে না। আজ স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তব। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র শেখ হাসিনা সরকারই করে দিয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি’র নসরুল হামিদ মিলনায়তনে মো. কামরুল আহসান তালুকদার রচিত গবেষণা ধর্মী দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বই দুটি হলো মাঠ ‘প্রশাসনের বিবর্তন প্রেক্ষাপট: বাংলাদেশ’ ও ‘পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রেক্ষিত: বাংলাদেশ।’
উপ-মন্ত্রী শামীম বলেন; দক্ষিণাঞ্চলে পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করেছে। ঢাকায় মেট্রোরেল চালু হচ্ছে। এই মেট্রোরেল প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ঢাকা তিলোত্তমা নগরীতে পরিণত হবে। ঢাকা শহরে ফ্লাইওভার হওয়ার মধ্যে দিয়ে ঢাকা সিঙ্গাপুরের মতো হয়েছে। এই পরিস্থিতি তাদের ভালো লাগে না। যারা দেশকে ধ্বংস করেছে, লুটপাট করেছে তাদের ভালো লাগে না। কাদের ভালো লাগে না? যারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে দেশের বিরোধিতা করেছে, যাদের মনে সাম্প্রদায়িকতা প্রোথিত তাদের এদের কোনো কিছুই ভাল লাগে না। তাদের ভালো লাগে না রোগে পেয়েছে।
এনামুল হক শামীম বলেন, বিএনপি করোনায় দেশের জনগণের পাশে ছিল না। তাদের কোনো দলীয় কার্যক্রম নেই। তাদের একটাই কাজ দেশকে কিভাবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ছোট করে ক্ষমতায় যাওয়া যায়। সে চিন্তাই বিভোর। দেশের আইনশৃঙ্খলা ও জঙ্গীবাদ দমনে যখন দেশের অপরাধ দমনে বদ্ধপরিকর। তখনই বিএনপি বিদেশে এজেন্ট নিয়োগ করে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত। তাদের কোনো কিছুতেই ভাল লাগে না। তাদের মূলত বাংলাদেশকেই ভালো লাগে না, তারা অন্তরে ‘পেয়ারে পাকিস্তান।”
উপমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ মধ্যবিত্ত দেশের পথে। মাথা পিছু আয় বৃদ্ধি, রিজার্ভের পরিমাণ বহুলাংশে বৃদ্ধি ও জিডিপিতে বাংলাদেশ আজ অনেক দেশকেই অতিক্রম করে চলেছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, তথ্যপ্রযুক্তিতে স্বপ্নের চেয়ে এগিয়ে যাওয়া, এক দশকের বেশি সময় ধরে প্রাথমিকের চার কোটি বই বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া। এসব বিএনপির কাছে লাগে না। দেশের উন্নয়ন দেখে বিএনপি নেতাদের ঘুম আসে না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অফিসার্স ক্লাব ঢাকা এর সাধারন সম্পাদক মেজবাহ উদ্দীন। এসময় ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন লেখক মাননীয় পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী’র একান্ত সচিব,উপসচিব মো. কামরুল আহসান পিএএ।
তিনি বই দুটি উৎসর্গ করেছেন যথাক্রমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নামে।
তথ্যবিবরণী-পিআইডি
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন