‘বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে জোর লবিং চালানো হচ্ছে’

বাংলাদেশকে সতর্ক করলেন মার্কিন কংগ্রেসম্যান এবং দেশটির পররাষ্ট্র বিষয়ক হাউস কমিটির চেয়ারম্যান গ্রেগরি ডব্লিউ মিকস। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের আরও কিছু সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে যুক্তরাষ্ট্রে জোর লবিং চলছে।

মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এমন সময় কংগ্রেসম্যান এই সতর্কতা দিলেন যখন র‍্যাব ও বাহিনীটির বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পরেছে সরকার।

অবশ্য সতর্কবার্তার পাশাপাশি মিকস এই বলে আশ্বস্তও করেছেন যে, নতুন করে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না তার দেশ। তিনি বলেন, ‘তাদের কথা অনুযায়ী আমরা এটা করব না… এটা সম্ভব নয়, এবং আমরা সব কিছু যাচাই-বাছাই করে সঠিক পদক্ষেপ নেব।’

স্থানীয় সময় সোমবার নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় একটি তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে এই কংগ্রেসম্যান বলেন, ‘যদিও আরও কর্মকর্তা এবং রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরে থেকে জোরালোভাবে লবিং চলছে।

‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে আমরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছি না এবং আমরা এখনও বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের সঙ্গে কাজ করছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছি না। নিষেধাজ্ঞাগুলো একটি সংস্থার কিছু ব্যক্তির ওপর আরোপ করা হয়েছিল, পুরো সংস্থার ওপর নয়… আমরা সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছি।’

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে গত ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে র‌্যাবের সাত বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট আলাদাভাবে এ নিষেধাজ্ঞা দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান মিকস জানান, মানবাধিকার পরিস্থিতি ও অন্যান্য বিষয় খতিয়ে দেখতে তিনি এ বছর বাংলাদেশ সফর করবেন।

তার আগে, তিনি স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং এশিয়া-প্যাসিফিক বিষয়ক কংগ্রেস সাব-কমিটির সঙ্গে কথা বলবেন। প্রয়োজনে বাংলাদেশ ইস্যুতে কংগ্রেসে শুনানির ব্যবস্থাও করবেন।