কণ্যাকে কেন্দ্র করে পরিবারকে সমাজচ্যুত অধিকার কে দিল : জাতীয় নারী আন্দোলন

মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায় আমেরিকায় পড়তে যাওয়ায় নুরুননাহার চৌধুরী ঝর্ণার পরিবারকে এলাকায় সমাজচ্যুত করার অভিযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, উৎকন্ঠা প্রকাশ করে জাতীয় নারী আন্দোলন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দেশের প্রচরিথ আইন লঙ্ঘন, সংবিধানের প্রতি অবমাননা ও নারী সমাজকে অপমানকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে।

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মিতা রহমান, সহ-সভাপতি জীবন নাহার, সাধারণ সম্পাদক নাজমা আক্তার, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারা বেগম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাকলি রহমান এদাবী জানান।

তারা বলেন, নুরুননাহার চৌধুরী ঝর্ণা সিলেট নগরের মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক পাস করেন। উচ্চশিক্ষার জন্য গত ২৬ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে আসেন ঝর্ণা। তো আমেরিকা আসার পর ঝর্ণার শিক্ষক জয়তূর্য চৌধুরী বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। এবং সে যে আমেরিকায় এসেছে পৌঁছেছে সেজন্য কিছু ছবি পোস্ট করেন। এইসব ছবি দেখে ঝর্ণার গ্রামের লোকজন আপত্তিকর মন্তব্য করেন শুধু তাই নয় তার বাবাকে ভাটেরা বাজার জামে মসজিদ পঞ্চায়েত কমিটির কিছু লোক ডেকে বলে মেয়ে কেন এমন পোশাক পরেছে। সেজন্য ঝর্ণার বাবাকে সমাজচ্যুত করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, এই তথাকথিত পঞ্চায়েত কমিটির এসব সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার কে দিয়েছে ? মেয়ে কেন উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ গেল এমন পোশাক পরল তা নিয়ে বাবাকে সমাজচ্যুত করে ? এই বেআইনী অধিকার তাদের কে দিয়েছে। আজ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে আমাদের সমাজ কি সামনে যাচ্ছে নাকি পেছনে হাটছে ? নাকি অন্ধকারের পথে হাঁটছে। আমরা কণ্যারা আমেরিকার মত উন্নত দেশে শিক্ষ নিতে পারবে না ? ঝর্নার পরিবারকে সমাজচ্যুত করার এই ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা উচিত সরকারের।