নরসিংদীতে মহাসড়কে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ফিটনেস বিহীন যানবাহন
নরসিংদীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবাদে চলছে ফিটনেস বিহীন যানবাহন। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, অকালে ঝড়ে যাচ্ছে মানুষের প্রাণ, পঙ্গু হয়ে জীবন যাপন করছে অনেকেই। এরপরও থেমে নেই অতি মুনাফালোভী গাড়ির মালিকরা।
এরা অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে বাড়তি আয় করতে দীর্ঘ দিনের পুরনো অকেজো পড়ে থাকা বাসগুলো মেরামত করে রাস্তায় নামাচ্ছে। ফলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ফিটনেস বিহীন যানবানের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব বাস ঘন ঘন রাস্তায় বিকল হয়ে পড়ায় ভোগান্তীতে পড়ছে যাত্রীরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব দেখেও না দেখার ভান করছেন।
এদিকে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ইটাখোলা বাসষ্ট্যান্ড ও হাইওয়ে পুলিশের অফিসের সামনে রয়েছে ফিটনেস বিহীন যানবাহনের একটি সমাহার। এখানে প্রতিটি গাড়ী থেকে সিরিয়াল বাবদ নেওয়া হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
এখানে থাকা এক চালক মোঃ কাউসার সংবাদ কর্মী রুদ্র এর নিকট অভিযোগ করে বলেন, এই স্ট্যান্ড সহ ফিটনেস বিহীন গাড়িগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে সাহেপ্রতাব এলাকার নেতারা। প্রতিমাসে গাড়ি বাবদ নেতাদেরকে দিতে হয় ১৫ শত টাকা চাঁদা। এই টাকা না দিলে রাস্তায় কোন কিছুতেই গাড়ি চালানো যায় না।
এদিকে সাহেপ্রতার মোড়ের নেতাদের নিকট জানতে চাইলে, তারা সংবাদকর্মীদের সাথে এই বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হয় নি।
এদিকে সাহেপ্রতাব মোড়ের দোকানদার শরীফ হোসেন জানান, সে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টায় শিবপুর থেকে সাহেপতাব আসার উদ্দেশ্যে ফিটনেস বিহীন বাসে ওঠে। বাসটি অর্ধেক রাস্তা আসার পর বিকল হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর সে অন্য বাসে ওঠে গন্তব্যে পৌছায়।
সততা পরিবহনের যাত্রী ভেলানগরের কেরামত আলী বলেন, সে গত শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে মনোহরদী থেকে নরসিংদী আসার উদ্দেশ্যে বাসে উঠেন। বাসটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আমতলা এলাকায় এসে বিকল হয়ে পড়ে। সে এক ঘন্টা অপেক্ষার পর অন্য বাসে উঠে গন্তব্যস্থলে পৌঁছায়। এতে তার সময় আবার দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
চালকরা বলেন, গাড়ির মালিকরা ত্রুটিপূর্ণ অকেজো গাড়িগুলো কোন মতে মেরামত, রং করে রাস্তায় ছেড়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে আমাদের করার কিছুই নেই।
নরসিংদীর সাহেপ্রতাব এলাকার গাড়ির গ্যারেজ মালিকরা বলেন, প্রতিবছরই পুরাতন গাড়ির মেরামত ও রংকরণ কাজের ধুম পড়ে যায়। তারা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
গাড়ির মালিক ও পরিবহন নেতারা বলেন, গাড়ির ব্যবসায় সাড়া বছর তেমন লাভ হয় না। তাই এই সমস্ত গাড়ি দিয়ে আমরা কিছুটা লাভের আশায় যানবাহনগুলি চালাচ্ছি। তাছাড়া পুলিশকেও মাসিক মাসুহারা দিতে হয়।
এ বিষয়ে নরসিংদীর ঢাকা সিলেট মহাসড়কের দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের নিকট জানতে চাইলে, তারা কেউ কোন কিছু বলতে রাজি হয়নি। বরং উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করার কথা বলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন