কুমিল্লায় বেড়েছে জিপিএ-৫, পাসের হারে মেয়েরা এগিয়ে
জিপিএ-৫ পাওয়ায় বিগত চার বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড। এ বছর কুমিল্লা বোর্ডে এক লাখ ১৪ হাজার ৫৫৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে এক লাখ ১১ হাজার ৬৮০ জন। পাসের হার ৯৭.৪৯ শতাংশ। মানবিক, বিজ্ঞান ও বাণিজ্য এই তিন বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ১৫৩ শিক্ষার্থী।
রবিবার দুপুরে কুমিল্লা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জামান এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, ২০১৭ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৭৮ জন, ২০১৮ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯৪৪ জন, ২০১৯ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছেন দুই হাজার ৩৭৫ জন, ২০২০ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯ হাজার ৩৬৪ জন। তবে এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৫৩ জন।
গতবারের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ বেড়েছে চার হাজার ৭৮৯ জন। এ বছর বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৯৭ দশমিক ১১শতাংশ। এ বিভাগে ২৪ হাজার ৯৭৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৪ হাজার ২৫৩ জন। মানবিকে পাসের হার ৯৮ দশমিক ৬ শতাংশ। এ বিভাগে ৫৪ হাজার ৪১৮জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন, আর পাস করেছে ৫৩ হাজার ৩৬২ জন। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাসের হার ৯৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এ বিভাগে ৩৫ হাজার ১৬৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৪ হাজার ৬৫ জন পাস করেছেন।
কুমিল্লা বোর্ডের ফলাফলে এ বছর এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। মেয়েদের পাসের হার ৯৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ। বিপরীতে ছেলেদের পাসের হার ৯৭ শতাংশ। এ বছর ৩৯৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৭টি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাসের কৃতিত্ব অর্জন করেছে এবং কোনও প্রতিষ্ঠানে পাসের হার শূন্য নেই।
শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, জিপিএ-৫ ও পাসের হারে আমি খুবই খুশি। বিগত বছরগুলোয় যে সব বিষয়ে পরীক্ষার্থীরা পিছিয়ে ছিল সেগুলোতে জোর দেওয়ায় ফলাফল ভালো হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন