নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের নির্মাণ কাজ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী পলকের ক্ষোভ: জরুরী ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আগামী এক মাসের মধ্যে নাটোর-বগুড়া মহাসড়ক নির্মাণকাজের অগ্রগতি না হলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হবে।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা পর্যায়ে হাইটেক পার্ক বাস্তবায়ন প্রকল্পের সিংড়া উপজেলায় হাইটেক পার্কসহ উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এম এম সামিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রতিমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, নাটোর-বগুড়া মহাসড়ক নির্মাণকাজে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর পিবিআই তদন্তসহ বিষয়টি নিয়ে আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। এরপর বার বার কাজের অগ্রগতি ও কাজের মানোন্নয়নে তাগিদ দেওয়া হলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার তার গুরুত্ব দিচ্ছেন না। বরং তাদের খেয়াল খুশিমত নির্মাণকাজ করছেন। এতে জনসাধারণ দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তিতে ভুগছেন।

কোন ক্ষমতা বলে, কার ইশারায় ঠিকাদার চলছেন এমন ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটাই তার শেষ আল্টিমেটাম। আগামী এক মাসের মধ্যে গুণগত মান বজায় রেখে কাজ সম্পন্ন না করা হলে ওই ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করে তার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে নতুন করে টেন্ডার দিয়ে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের নির্মাণকাজ শেষ করা হবে।

মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ১৭ কোটি মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পাচ্ছে। সারাদেশে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ করেছেন সজিব ওয়াজেদ জয়। ৫ কোটি শিক্ষার্থী করোনাকালীন শিক্ষার সুযোগ পেয়েছেন। অনলাইনে ক্লাসের সুবিধা পেয়েছে। ডিজিটাল ইন্টেকটিয়াল বুকের মাধ্যমে, সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে শিক্ষার সুযোগ পেয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু বলতেন ঢাকা মানে বাংলাদেশ নয়, তাই গ্রামের উন্নয়নে তিনি নজর দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সরকার গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করেছে।

পলক আরও বলেন, চলনবিল অবহেলিত এলাকা ছিল। ৩০ শতাংশ মানুষ আলোকিত ছিল। সরকার শতভাগ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করেছেন। ৩শ কিলোমিটার পাকা রাস্তা হয়েছে। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা হচ্ছে। বিলের মধ্যে সাবমার্সিবল সড়ক নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছানো হয়েছে। ই সেন্টারে আড়াইশ সেবা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সেবার মান উন্নত হয়েছে। তিনটি এ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে। ৫০ শয্যায় উন্নিত করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাত্র ১৩ বছরে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সিংড়ায় ৫টি প্রতিষ্ঠান উপহার দিয়েছেন। ২০ একর জমিতে ৫টি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজ, হাইটেক পার্ক, শেখ রাসেল ইনকিউবেশন সেন্টার, শেখ কামাল মিনি স্টেডিয়ামসহ ২৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে শেরকোলে ৫টি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন- এ কে এএম ফজলুল হক প্রকল্প পরিচালক জেলা পর্যায়ে আইটি হাইটেক পার্ক নাটোর, মো. মোস্তফা কামাল (যুগ্মসচিব) প্রকল্প পরিচালক শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নাটোর, হাইটেক পার্কের পরিচালক ডা. বিকেন্দ ঘোষ, শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ লুৎফুল হাবিব রুবেল, ডায়াবেটিস সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমীন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল আওয়াল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান কামরান প্রমুখ।